অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নায়িকা নওশাবা গ্রেফতার

0
.

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার দুপুরের আগে ফেসবুক লাইভে আসা এই অভিনেত্রীকে রাতে উত্তরা থেকে আটক করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে বাহিনীটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা না হলেও একটি ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, ‘চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর দায়ে কাজী নওশাবা আহমেদ কে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সড়ক আটকে রেখে তাদের অবস্থানের কারণে ব্যাপক ভোগান্তি দেখা দেয়।

আবার ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়ায় বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয় তীব্র ভোগান্তি।

এর মধ্যে শনিবার ধানমন্ডি ৩/এতে আওয়ামী লীগ কার্ালয়ে নিয়ে চারজন ছাত্রকে হত্যা এবং চারজন ছাত্রীকে ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। বেশ কয়েকজন নানা জায়গা ফেসবুক লাইভে এসে বা সাক্ষাৎকারের মতো তৈরি করে প্রচার করে সামাজিক মাধ্যমে। আর এতে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে আওয়ামী লীগ কার্ালয়ে হামলার চেষ্টা করে।

তখন দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষেই আহত হয় বেশ কয়েকজন। এই হামলার জন্য ছাত্রদের নয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দায়ী করেছেন বিএনপি-জামায়াতকে। বলেছেন, ছাত্রদের পোশাক করে তারাই মূলত হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে।

এই গুজব যেসব মেয়রা যারা ছড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে আটক হওয়া অভিনেত্রী নওশাবাই তার চেহারা দেখিয়েছেন। বাকিরা চেহারা বোরকার কাপড় বা মুখোশে ঢেকে রেখেছেন।

নওশাবা যা বলেছিলেন-

‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হাঁপাতে হাঁপাতে কান্নামুখর হয়ে বলছেন জিগাতলায় একজনের চোখ তুলে ফেলা ও দুই জনকে মেরে ফেলা হয়েছে।

‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই। একটু আগে ঝিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন প্লিজ। ওদেরকে প্রোটেকশন দেন, বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে, প্লিজ। আপনারা রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন এবং ওদেরকে প্রোটেকশন দেন।’

‘সরকার প্রোটেকশন দিতে না পারলে আপনারা মা-বাবা, ভাই-বোন হয়ে বাচ্চাগুলোকে প্রোটেকশন দেন, এটা আমার রিক্যুয়েস্ট। এদেশের মানুষ-নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিক্যুয়েস্ট করছি যে, ঝিগাতলায় একটি স্কুলে একটি ছাত্রের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ ওদের বাঁচান প্লিজ। তারা ঝিগাতলায় আছে।’