অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“গ্রাজুয়েট চোর শওকত”

0
.

নাম তার শওকত আকবর। গ্রাজুয়েশন করেছেন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। চাকুরিও করেছেন পরিবহন সেক্টরে। গ্রাজুয়েশন করে কেউ চাকুরির পেছনে ছুটে, কেউ অফিসের পেছনে ছুটে, কেউ মামার পেছনে ছুটে আর কেউ খালুর পেছনে ছুটে। তবে তিনি কারও পেছনে ছুটেননি। উল্টো তার পেছনেই দীর্ঘদিন ধরে ছুটছে পুলিশ। কারণ, গ্রাজুয়েট শওকত পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চুরিকে।

স্টেশন রোডের হোটেল ফেভার ইন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি করা একটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ও নগদ ১৬ হাজার টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে শওকত জানান, তার বাড়ি সাতকানিয়ায়। গ্রাজুয়েশনে শেষে সৌদিয়া পরিবহনে কিছুদিন চাকুরি করেছেন। সেখানে থাকতেই ছোটখাট চুরিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে চাকুরি ছেড়ে তিনি চুরিকেই প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নেন।

তবে তার চুরির ধরন অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি মূলত চুরি করেন আবাসিক হোটেলে। প্রথমে ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, সরকারি চাকুরে কিংবা অন্য কোন পরিচয়ে মানসম্মত কোন হোটেলে উঠেন। দিনভর বিভিন্ন রুমে রেকি করেন। শেষে সুযোগ বুঝে সেই রুম থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করে সটকে পড়েন। তার এসব কাজে সহযোগিতা করে সুমন নামের এক ব্যক্তি। হোটেল ফেভার ইনেও তারা একই রকম ভাবে রুম ভাড়া করেন। এসময় এক ব্যক্তি তার রুমে রাখা মোবাইল, ল্যাপটপ না পেলে অভ্যর্থনা ডেস্কে অভিযোগ করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় শওকত ও সুমন এই চুরি করেছে। পরে পুলিশ শওকতকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায় সুমন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শওকত চুরির কথা স্বীকার করেন। এসময় তিনি মাদক সরবরাহ ও সেবনের কথাও স্বীকার করেন এবং এ কাজে তার সহযোগিদের নামও প্রকাশ করেন। তাদের সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

লেখকঃ মুহাম্মদ মহসীন
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
কোতোয়ালী থানা, সিএমপি