অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীমা স্টিলের ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় আসামী সুমন দে কারাগারে

0
.

চট্টগ্রামে বেসরকারী রড তৈরীর প্রতিষ্ঠান সীমা অটো স্টীল মিলস লিমিটেড প্রায় ১০ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাত ও মালিকের স্বাক্ষরিত চেক চুরির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত প্রতিষ্ঠানটির সাবেক হিসাব রক্ষক সুমন কান্তি দে’র জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ ১২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদ এর আদালত এ নির্দেশ দেন।

বাদীর আইনজীবি এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু জানান, সীমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দুই মামলায় আসামী সুমন কান্তি দে কে ৫ (পাঁচ) দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার আদালতে আবেদন করে।

আজ রবিবার শুনানীকালে আসামী পক্ষের আইনজীবিরা আসামীর জামিন আবেদন করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামী সুমন কান্তি দে এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।

জানাগেছে, আসামী সুমন দে সীমা গ্রুপে কর্মরত থাকাকালে কোম্পানীর অর্পিত আস্থা ও বিশ্বাস ভংগ করে দফায় দফায় প্রতিষ্ঠানের ৯ কোটি ১৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪৪৫টাকা আত্মসাত করে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষরিত চেক হতে কিছু চেক ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যবহার না করে চুরি করে।

পরে কোম্পানীর আভ্যন্তরীন অডিটে বিশাল অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি ধরা পড়লে আসামী সুমন দে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে আত্মসাতকৃত অর্থ হইতে ৬ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার জন্য কোম্পানীর বরাবরে ৫ টি চেক প্রদান করেন।

যার মধ্যে ১কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকার একটি চেক নগদায়ন হলে ও বাকী চেক সমুহের মধ্যে ৩ কোটি টাকার তিনটি চেকের টাকা আজ দেবে কাল দেবে বলে কালক্ষেপন করে।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এ.এম.জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট মামুন করিম, এডভোকেট ছোটন কান্তি বোস ও এডভোকেট চন্দন চক্রবর্তী প্রমুখ।

অন্যদিকে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, এডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী প্রমুখ।