অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এমজি হতে পারে পরবর্তী মরণব্যাধি রোগ

0
.

সতর্ক না হলে এখনকার স্বল্প পরিচিত যৌনবাহিত একটি রোগই সামনের দিনগুলোতে মরণব্যাধি হয়ে উঠতে পারে। মাইকোপ্লাজমা জেনিটালিয়াম বা সংক্ষেপে এমজি নামক এই রোগটার প্রায়শই কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে না। কিন্তু শ্রোণী প্রদাহজনিত রোগের জন্ম দিতে পারে যা একজন নারীকে সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে দিতে পারে।

নারীদের শ্রোণী অঞ্চলে যে অঙ্গগুলো থাকে তা হলো- অন্ত্র, মূত্রাশয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয়। সঠিক চিকিৎসা না করালে এমজি জীবাণু শরীরে থেকে যেতে পারে যা শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে। আর সে কারণেই ব্রিটিশি এসোসিয়েশন অফ সেক্সুয়াল হেল্থ অ্যান্ড এইচআইভি এ বিষয়ে নতুন পরামর্শ দিয়েছে।

এমজি আসলে কী?

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা পুরুষের মূত্রনালীতে প্রদাহ তৈরির কারণ হতে পারে যা পুরুষাঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হবে। আর নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়সহ প্রজনন অঙ্গগুলোতে প্রদাহ হতে পারে যার মধ্যে প্রচণ্ড ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণেরও সম্ভাবনা আছে।

ইতোমধ্যেই এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত কারও সাথে যৌন সম্পর্ক হলে এ রোগ আরেকজনের মধ্যেও ছড়াতে পারে। আর সে কারণেই যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডমের ব্যবহার রোগটি থেকে মুক্ত থাকার সহজ উপায় বলে বলা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে প্রথম রোগটি শনাক্ত হয়েছিল। এখন এ রোগটিকে উদ্বেগজনক বলে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে ব্রিটিশ এসোসিয়েশন অব সেক্সুয়াল হেল্থ অ্যান্ড এইচআইভি।

অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা হতে পারে কিন্তু সংক্রমক ব্যাকটেরিয়া এখন ক্রমশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে।

কনডম ব্যবহার

ব্রিস্টলের যৌন বিষয়ক পরামর্শক ড. পিটার গ্রীনহাউস লোকজনকে আগেই সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলছেন, রোগটি সম্পর্কে জানতে এটাই সময়।

‘গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে কনডমের প্যাকেট নেয়ারও এটি একটি ভালো কারণ হতে পারে’।

নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

ব্রিটিশ এসোসিয়েশন অব সেক্সুয়াল হেল্থ অ্যান্ড এইচআইভির নীতিমালায় বলা হয়েছে, লক্ষণ দেখা গেলে রোগীরা যাতে পরীক্ষা করে সঠিকভাবে এবং চিকিৎসা নেয়।

‘নারীদের মধ্যে যারা বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকিতে আছে তাদের ডায়াগনস্টিক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সরঞ্জাম প্রয়োজন’।

জনস্বাস্থ্য নিয়ে সম্ভাব্য জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় সরকারকে অর্থ বরাদ্দের জন্যও আহবান জানিয়েছে ব্রিটিশ এসোসিয়েশন অব সেক্সুয়াল হেল্থ অ্যান্ড এইচআইভি।

তবে জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এমজি পরীক্ষা বা ওষুধ প্রতিরোধী হয়েছে কি-না তা পরীক্ষার সুযোগ সহজলভ্য আছে।

জনস্বাস্থ্য বিভাগের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ড. হেলেন ফিপার বলেন, ‘লক্ষণ দেখা গেলে স্থানীয় সেক্সুয়াল হেলথ ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছি’।

তিনি বলেন, ‘নতুন বা পুরনো সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করেই এর প্রতিরোধ সম্ভব’।