অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন

0
.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোক প্রজ্জ্বলন ও বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান চট্টগ্রাম জেলা শাখা।  গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবছরের ন্যায় উদ্যোগে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিৎ দত্তের সভাপতিত্বে আলোক প্রজ্জ্বলন উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা: মাহফুজুর রহমান।

অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আমুস উপদেষ্টা দীপংকর চৌধুরী কাজল, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মো: সাজ্জাদ হোসেন, আমুস দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কাশেম, বিজয়’৭১ মহাসচিব ডা: আর.কে. রুবেল, সহ-সভাপতি জাওয়াদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহদাত নবী খোকা, কর্ণফুলী ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: মনজু, আমুস মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নাজমুল, আমুস মহানগর নেতা মো: নুরুল আমিন, চবি সহ-সভাপতি মঈনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান জগলু, আমুস সিলেট জেলা নেতা রশিম উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র আহ্বায়ক ডিকু সিকদার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা শ্রমিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক টিংকু পালিত, আমুস মহানগর সহ-মহিলা সম্পাদিকা রোজিনা আক্তার চিনতি, আমুস খুলশী থানার সহ-সভাপতি বায়েজিদ চৌধুরী হৃদয়, ডা: এস.কে পাল সুজন, মোশাররফ হোসেন, ডা: রাজীব চক্রবর্ত্তী, সংগঠক এনায়েত উল্লাহ, লক্ষ্মী পালিত, বন্যা বেগম প্রমুখ।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন আমুস মহানগর দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম বাবলু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের ওই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। ৭৫’র ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।