অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শেষ মূহুর্তে সীতাকুণ্ডে জমে উঠেছে পশুর হাট

0
.

কোরবানী ঈদের বাকী আর মাত্র একদিন। তাই নিজেদের পছন্দের পশু কেনার জন্য সবাই ভীড় করছে বাজারে।  শেষ মুহুর্তে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন কোরবানীর হাট বাজার বেশ জমে উঠেছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০টি পশুর হাটে বসেছে কোরারবানীর পশুর জমজমাট বাজার।  স্থায়ী বাজারের সাথে উপজেলার নানা স্থানে ঘোষিত-অঘোষিত ছোট-বড় হাট বাজার গড়ে উঠেছে। একদিন পর কোরবান। এরই মধ্যে বেচাকেনা চলছে পুরোদমে।

সীতাকুণ্ডে কোরবানীর গরু ক্রয়-বিক্রয়ে মোহন্তের হাট, বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠ হাট, শেখের হাট, ভূঁইয়ার হাট, ফকির হাট, বড়দারগার হাট, ছোটদারগার হাট, মদন হাট, মাদামবিবিরহাট, ভাটিয়ারী স্কুল হাট, ফৌজদারহাটসহ অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে বাজার। গরু কিনতে গিয়ে অনেকে বলছেন গরুর দাম বেশি আবার বিক্রেতারা বলছেন দাম তেমন বেশি না। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশীয় গরুর বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতারা জানালেন এবার বাহির থেকে কোন গরু সীতাকুণ্ডের বাজারে আসেনি।

.

স্থানীয় বেপারীদের বছরজুড়ে লালন-পালন করে বড় করা গরু গুলোই ঈদে চাহিদা পুরণ করতে সক্রম। চাঁদ দেখা যাওয়ার পূর্ব থেকে হাটগুলোকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা শুরু করে গরু মজুদ। কিন্তু হাটগুলোতে দিনে দিনে পশু মজুদ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি নিয়ে শংকায় ছিল বিক্রেতারা। কিন্তু কোরবানীর দিন ঘনিয়ে আসার পর থেকে সেই শংন্কা অনেকটা কেটে গেছে। মাদামবিবিরহাট গরুর বাজার ঘুরে অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রচুর দেশীয় গরু রয়েছে। যা চাহিদা পুরণ করতে পারবে। যেহেতু আরো একদিন বাকি আছে সেহেতু প্রচুর গরুও আছে বাজারে। তাই দাম তেমন বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে ক্রেতারা জানান, হাটে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে না। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। বিক্রেতারা আশা করছেন, আজ ও কাল কোরবানির হাটের পশু বিক্রি আরো বাড়বে। ঈদের আগের দুই দিন ক্রেতা উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশাবাদ বিক্রেতাদের।

.

এদিকে ক্রেতারাও চাইছেন, শেষ সময়ে এসে সাধ্যের মধ্যে ভালো পশুটা কিনতে।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম-বেশি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অভিযোগ-অনুযোগ থাকলেও দাম একেবারে খুব বেশি এমনটা এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ক্রেতার উপস্থিতি কম, তবে যারাই আসছেন তার মধ্যে অনেকেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে জানান অনেকেই।