অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে গুন্ডাতন্ত্র

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, চলছে গুন্ডাতন্ত্র, চলছে অসুস্থ শাসন ব্যবস্থা। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার এ নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই জাস্টিসের বদলে অন্যায় হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরচারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। কোন ধরনের জবাবদিহিতা নেই তাদের।

তিনি আজ ২৯ আগস্ট বুধবার বিকালে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন।

বক্কর বলেন, প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে দলীংয় করণ করা হয়েছে। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। প্রতিবাদের অধিকার নেই। অবিচার যখন আইন হয়ে যায় রুখে দাঁড়ানো তখন কর্তব্য হয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিপদ মনে করে। তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আরেকটি একতরফা নিরর্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচন কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে প্রায় সবদলের নেতারা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছিল। সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারও আশ্বাস্ত করে বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়া হবে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করছে নির্বাচন কমিশন। এ চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দিবে।

তিনি বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে আগামী ১ সেপ্টম্বর সমাবেশ ও র‌্যালি করার সিন্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদের কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক সহযোগীতা করবেন। তিনি চট্টগ্রামের সর্বস্থরের নেতা কর্মীদেরকে ১ সেপ্টম্বরের সমাবেশ উৎসব মূখর পরিবেশে সফল করতে সর্বাত্বক প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব সামশুল আলম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাকে বিপর্যস্ত করতে কারাগারে নানামূখী নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে বিপন্ন ও অতিষ্ট করার জন্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষ দিয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে।

আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা। অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে তারপরও জামিন দেয়া হচ্ছে না। ন্যায় বিচার পাওয়ার মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হল সর্বোচ্চ আদালত এবং জামিন পাওয়া মানুষের অধিকার।

প্রস্ততি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোঃ আলী , সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, ছৈয়দ আহমদ, সাবেক কমিশনার মাহাবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন।

নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মোঃ তৈয়ব, প্রচার সম্পদক সিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মণি, শেখ নুরুল্লা বাহার, শ.ম. জামাল, সহ সাধারণ সম্পদক শামশুল আলম (ডক), হাজী মোঃ সালাউদ্দিন, ইসহাক চৌধুরী আলীম, জহির আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ।