অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু

0
.

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাফ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের মাদকাসক্ত ও বখাটে যুবক মো. হিরাদ (১৯) কর্তৃক আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।  তাকে গুরুত্বরবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংশা করে দিবে বলে মূল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ করা অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১) ধারা ধর্ষক মো. হিরাদকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষিতা শিশু (৮) সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের রিকসা চালক মো. সিরাজ মিয়ার মেয়ে ও খলিফার হাট সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।  ধর্ষক মো. হিরাদ একই গ্রামের হাফেজ মফিজ উল্যাহর ছেলে। সে এলাকায় মাদকাসক্ত ও বখাটে যুবক হিসেবে পরিচিত।

ধর্ষিতার মা সেলিনা বেগম জানায়, আমার মেয়ে শিমুলি (৮) ও নাতি রিশাদ (৬) গত ৮ আগস্ট দুপুর বেলায় স্থানীয় খলিফার হাট বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে একই এলাকার বখাটে হিরাদ আমার মেয়ে ও নাতিকে পেয়ারা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাড়ীর পিছনের কলা বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিমুলি চিৎকার করতে গেলে হিরাদ হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলাটিপে ধরে। এসময় আমার নাতি রিশাদ কান্না করতে করতে এগিয়ে গেলে হিরাদ শিমুলিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে শিমুলি বাড়িতে এসে কান্না করতে থাকলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন সে বিষয়টি খুলে বলে।

ঘটনা জানার পর আমরা স্থানীয় মেম্বার রিপনকে অবগত করলে তিনি সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংশা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় একমাস  হতে চললেও আমার বুঝতে পারি মেম্বার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে, দিন দিন আমার মেয়ে শিমুলির শারীরিক অবস্থায় অবনতি দেখা দেওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে আমি বাদী হয়ে ধর্ষক হিরাদকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করি। স্থানীয় কালাদরাপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপনের সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর শুক্কুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামীকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ।