অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খুলনায় কলেজছাত্র হত্যায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

0
.

খুলনার তেরখাদায় কলেজছাত্র শেখ বদরুদ্দৌজা হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নবির হোসেন, তবিবুর রহমান, আকা মিয়া শেখ, খাজা মিয়া, বুলু মিয়া, অসিকার শেখ, চাঁন মিয়া শেখ, মনির শেখ, এহিয়া ও কামাল শেখ। এদের সবার বাড়ি তেরখাদার কুমিরডাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার কুমিরডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ছোট ছেলে-মেয়েদের আরবি পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ হয়। এ বিরোধের জের ধরে এক পক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে শেখ বদরুদ্দোজাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বদরুদ্দোজা রূপসা উপজেলার বঙ্গবন্ধু কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শেখ আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় এমটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তেরখাদা থানার এসআই মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে এজারভুক্ত ১২ জনসহ ১৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গত ৯ জানুয়ারি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত পরিচালনা করার পর বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বের) রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি শেখ এনামুল ও তার সহকারী অ্যাডভোকেট বেগম সাকেরীন সুলতানা। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুস সবুর মামলাটি পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাকেরনী সুলতানা জানান, এই হত্যা মামলার বাদী শেখ আসাদুজ্জামানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আসামিরা পাল্টা আরেকটি মামলা করেছিলেন। বিশেষ দায়রা জজ আদালতে মামলা নং-সিআর ১৩০/২০০৯। বিচারক ওই পাল্টা মামলার রায়ে অভিযুক্ত সবাইকে খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এনামুল হক বলেন, এ রায়ের ফলে নিরাপরাধ শিক্ষার্থী হত্যার বিচার হয়েছে। আশা করছি আগামীতে এ ধরণে ঘটনার ক্ষেত্রে সবাই সতর্ক হবে।

মামলার বাদী শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, অনেকদিন পর হলেও আমরা বিচার পেয়েছি। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।