অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নতুন বিনোদন কেন্দ্র জাম্বুরি পার্কে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

4
.

নগরীর বাণিজ্যেক এলাকা আগ্রাবাদের বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাম্বুরি পার্ক। আগ্রাবাদ শিশু পার্কের পাশে বৃহৎ পরিসরের গণপূর্ত বিভাগের উদ্যোগে এ পার্ক করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৫৫ একর জমির ওপর বিশাল এলাকাজুড়ে এ পার্ক করতে ব্যায় হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

আজ শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাম্বুরী পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। জমজমাট এবং বনার্ঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পার্কের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সিডিএ’র চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
এদিকে দর্শনার্থীদের চাপে উদ্বোধনের আগেই পার্কটি খুলে দেয়া হয়েছে।  গত একমাস ধরে পার্কটিতে শত শত মানুষের ভীড় লেগে আছে। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষের ভিড় করছে।
 
.

জাম্বুরী পার্কে রয়েছে সাড়ে তিনফুট গভীরতার বিশাল কৃত্রিম লেক। এর পাড়ে পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফলদ ও বনজ গাছ। আছে বসার আসন ও সুদৃশ্য ফোয়ারা। হ্রদের পাশ দিয়ে পায়ে হাঁটার পথ। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের শরীর চর্চার সুবিধার্থে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আর বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯ টা পার্কটি বিনোদন পিপাসুদের জন্য খোলা রাখা হয়েছে সপ্তাহের সাতদিনই পার্কটি খোলা থাকবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

 

পার্ক এলাকায় দুটি গণশৌচাগার, গভীর নলকূপ ও একটি বিদ্যুতের উপকেন্দ্র রয়েছে। পার্কে প্রবেশের জন্য রয়েছে ছয়টি গেট। নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছেন ছয়জন কর্মী। পার্ক পরিস্কার রাখতে এখানে কোনো রেস্তোঁরা রাখা হয়নি। পার্কে প্রবেশে কোনো প্রবেশ ফি নেই।

 
পার্কটিতে সন্ধ্যার পর বর্ণিল আলোকসজ্জায় মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
 
এছাড়াও পার্কে লাগানো গাছের মধ্যে রয়েছে শিউলি, নাগেশ্বর, সোনালু, টগর, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, রাধাচূড়া, কাঁঠালচাঁপা, বকুল, মৌ সন্ধ্যা, নয়নতারা, জারুলসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ। লেকের ধার দিয়ে চলে গেছে পায়ে চলার পথ, যা ব্যায়াম এবং হাঁটার উপযোগী। থাকবে ড্যান্সিং লাইট, দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা ও একাধিক ঝরনা। নির্মিত হবে ক্যাফেটেরিয়া, আকর্ষণীয় গ্লাস ব্রিজসহ ১৩৮টি সিটিং বেঞ্চ। থাকবে গণশৌচাগার ও গভীর নলকূল। দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও ৬টি প্রশস্ত গেট। থাকছে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও।
 
.

জাম্বুরী পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ নূর কে জানান, সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে আর কম্পাউন্ড রোড মিলে ৮ হাজার রানিং ফুটের পার্কটির মাঝে ৫০ হাজার বর্গফুটের জলাধার রাখা হয়েছে। জলাধারের কিনারায় বসার জন্য তিনটি বড় গ্যালারি রাখা হয়েছে। মাঠজুড়ে সাড়ে পাঁচশ লাইটের পাশাপাশি নজরকাড়া দুইটি বর্ণিল ফোয়ারা রয়েছে এ পার্কে। ফলে সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে পার্কটি।

 
বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি থেকে পার্কটি সুরক্ষার জন্য পুরো পার্কটি ৩ ফুট উঁচু করা হয়েছে এ কর্মকর্তা পাঠক ডট নিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শারীর চর্চার জন্য প্রশস্ত ও দীর্ঘ জগিং ট্র্যাক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য উন্মুক্ত উদ্যান এবং নির্মল বাতাসের জন্য জলাধার স্থাপন। পার্কের ভেতরের ও বাইরের পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ মাস্টার ড্রেন।
 
তিনি জানান, পার্কের চার কর্নারে চারটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দুইটি টয়লেট ব্লক, একটি গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ অফিস, একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র। আড়াই হাজার ফুট দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন সীমানাপ্রাচীরের পাশেও রাখা হয়েছে ওয়াকওয়ে। পার্কে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৬টি ফটক। জলাধারের পাশে রয়েছে দুইটি পাম্প হাউস। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মাঠজুড়ে লাগানো হয়েছে ৬৫ প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা।
 
.

পার্কে বেড়াতে আসা শিক্ষক জমির উদ্দিন জানান, এ ধরণের মুক্ত একটি পার্ক  হওয়ায় আমরা খুশি। যদি দীর্ঘমেয়াদে ফোয়ারার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, লাগানো ঘাস ও চারাগাছগুলোর পরিচর্যা করা হয় তবে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের হাঁটা বা শরীরচর্চার ক্ষেত্র শুধু নয় জাম্বুরি পার্ক দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি কাড়বে।

 নগরীর বন্দর টিলা থেকে পার্কে আসা দর্শনার্থী ফারজানা খানম পাঠক ডট নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের এ জাম্বুরি মাঠ এখন বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। কেউ নিজের চোখে না দেখলে এতো সুন্দর বুঝার ক্ষমতা নেই। বিনা ফিতে উন্মুক্ত করার বিষয়টিও আমাদের জন্য আরো ভাল হয়েছে। অবসর সময়ে একটু বিনোদনে আশায় এ পার্কে আসা যাবে বলেও জানান তিনি।
৪ মন্তব্য
  1. Md Khurshed Atif বলেছেন

    Jete hobe

  2. Md Khurshed Atif বলেছেন

    Jete hobe

  3. MD Tipo বলেছেন

    আগে বিনোদন ফ্রি>পরে ধর কসা খসি, শুরু হবে
    মারা মারী,তার পর হবে।
    টেন্টার বাজী। চলে যাবে
    আম্লার দের হাতে।মিডিয়া
    ভাই ছাইলে সব পারে। সরকার রের আওয়াতাই
    রাখা হক।গরিব দুখি মানুষ এর ছিন্তা কে করে।

  4. MD Tipo বলেছেন

    আগে বিনোদন ফ্রি>পরে ধর কসা খসি, শুরু হবে
    মারা মারী,তার পর হবে।
    টেন্টার বাজী। চলে যাবে
    আম্লার দের হাতে।মিডিয়া
    ভাই ছাইলে সব পারে। সরকার রের আওয়াতাই
    রাখা হক।গরিব দুখি মানুষ এর ছিন্তা কে করে।