অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“আরেকটি নীল নকশার নির্বাচন করতে গণগ্রেফতার শুরু করেছে সরকার” (ভিডিও)

6
পাঠক ডট নিউজের সাথে কথা বলছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

কারাবন্দী তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আগামী দিনে আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোর জনই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নগর বিএনপি সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন।

তিনি নগরীর ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের নিজ চেম্বারে পাঠক ডট নিউজের সাথে একান্ত বিএনপির আন্দোলন, পুলিশের ধরপাকড়, আন্দোলনের ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলাপকালে এ কথা বলেন।

ডা: শাহাদত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর নগর বিএনপি পূর্ণাঙ্গ কমিটি, থানা ও ওয়োর্ড কমিটিগুলো গঠন করার পর দলীয় নেতাকর্মীরা অনেক উজ্জীবিত। চলমান কর্মসূচীগুলোতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমাণ করে নগর বিএনপি অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগামীতে যে কোন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।

নিজ চেম্বারে কর্মব্যস্ত ডা. শাহাদাত হোসেন।

গণগ্রেফতার ও একাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির তরুণ এই নেতা বলেন, সরকার ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর ন্যায় আরেকটি নীল নকশার নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা ২০১৪ সালে যেভাবে ধারপাকড় করে ছিল ঠিক সেইভাবে এখন গণগ্রেফতার করছে। সরকার বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করো বিএনপির নির্বাচনী ভীত দুর্বল করে আরেকটি নীল নকশার নির্বাচনের পায়তারা করছে।

তিনি বলেন, আমরা গায়েবী জানাজার কথা শুনেছি কিন্তু এই সরকার এখন গায়েবী মামলা আবিস্কার করে নেতাকর্মীরেও হয়রানি করছে। বাসা-বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করছে। গত সাপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীতে ৩০জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একটি সরকার যখন স্বৈরাচারীর শেষ পর্যায়ে আসে তখন তারা এই ধরণের দমন নীপিড়ন ও নির্যাতনের আশ্রয় নেয় জানিয়ে পেশাগত জীবনে চিকিৎসক এই রাজনীতিবিদ বলেন, অতীতে যারা এসব স্বৈারচারী আচরণ করেছে তারা ইতিহাসের আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

বিএনপির আন্দোলনের রুপরেখা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন ছয়টি ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছি যার প্রথমটি ও প্রধান ইস্যু হলো, কারাবন্দী বেগম জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি,নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সাহায়ক সরকার,গায়েবী মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদেওর হয়রানি বন্ধ,স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন গঠন ও ইবিএমন বাতিল এবং নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা।

বিএনপিকে দমন করতে সরকার গায়েবী মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, মামলা হামলা নির্যাতন করে বিএনপির সাংগঠনিক ভীতকে দুর্বল করা যাবেনা। বিএনপির বর্তমান কর্মসূচীগুলোতে গণজোয়ার নামছে। যতো দিন যাচ্ছে মানুষ বিএনপির প্রতি ঝুকছে। কারন মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়,গণতান্ত্রিক একটি সরকার তারা চায়,তারা তাদের মানবাধিকার চায়,কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায়,নিরাপদ সড়ক চায়,গুম ও মামলা হামলা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

আজ দূর্ণিতী লাগামহীন হয়ে গেছে জানিয়ে ডা: শাহাদাত বলেন, বাংলাদেশের একটা গ্রুপ ভাল আছে যারা আওয়ামীলীগ করে। আজ দেশের ৯০শতাংশ লোক ভাল নেই। সেই ৯০শতাংশ লোকই বিএনপিকে ক্ষমতায় বাসাতে চায়। মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে তাদের ভোটের অধিকার ফিরে,তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। বিএনপির চলমান আন্দোলন এই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য।

বিএনপি কোন সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। তাকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বিএনপি।

জাতীয় ঐক্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, একটি জাতি তখই ঐক্যবদ্ধ হয় যখন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে,বাকস্বাধীনতা নিয়ে ,বেছে থাকার অধিকার,কথা বলার অধিকার,নির্বিঘ্নে চলার অধিকার তাদের ভোট দেয়ার অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত হয় তখনই। এই জন্য বিভিন্ন মহল থেকে ঐক্যের ডাক আসছে আর বিএনপি তাতে সাড়া দিচ্ছে। জাতীয় ঐক্য সত্যিকার অর্থে দরকার। যার একটিই কারন তাহলো, গণতন্ত্রের মাতা বেগম জিয়ার মুক্তি,একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ও মানুষের ভোট অধিকার রক্ষার জন্য।

সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান চট্টগ্রাম বিএনপি অনেক শক্তিশালী। মহানগরের পূর্নাঙ্গ কমিটি রয়েছে। নগরীর সকল থানা ও অধিকাংশ ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। নগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিও ঘোষনা করা হয়েছে। ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা ঐক্যবদ্ধ। তারা বিগত প্রোগ্রামগুলোতে জনগণতে সম্পৃক্ত করেছে। যে কোন আন্দোলনে নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাকর্মীরা।

.

দিন যতো যাবে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আক্রোশ ফুঁসে উঠবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউনিপেটু ও শেয়ার মার্কেটের হাজার হাজার কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছে সরকারের লোকজন। বাংলাদেশ ব্যাংক লুটপাট হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ অধিকার আদায়ে মাঠে নামছে। বর্তমান সরকার যদি মনে করে দেশের মানুষ সবসময় তাদের ফুলের মালা দেবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। সাধারণ মানুষ এতোদিন চুপ ছিল। এটা সেই ক্ষোভ যেটা এতোদিন দেখাতে পারিনি।

৬ মন্তব্য
  1. Akhter Hossain বলেছেন

    BNP is a terrorist political party said Canadian court of justice????????????

  2. Akhter Hossain বলেছেন

    BNP made us world champion in DURNITI 05 times???????

  3. Akhter Hossain বলেছেন

    Only one in the world who has more than one dates of birth she is our ex prime minister Khaleda Zia?????????

  4. Akhter Hossain বলেছেন

    BNP leader ex prime minister Khaleda Zia & ex finance minister Saifur Rahman both are regularized their black money in 1/11????????

  5. Belayet Shikdar বলেছেন

    ঠিক কথা

  6. Hasam Ali বলেছেন

    yes