অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী তুহিনের গলিত লাশ উদ্ধার

1
.

চট্টগ্রাম হাটহাজারী থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী তাছনিম সুলতানা তুহিন (১৩) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে নিজ ভবনের ৪র্থ তলা থেকে।  আজ রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় অর্ধ গলিত তুহিনের লাশ উদ্ধার করার পর লাশ হাটহাজারী থানায় নেয়া হয়।  এসময় হাজার হাজার মানুষ থানার সমনে ভীড় করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

খুনের সাথে জড়িত একই ভবনের ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া ডা. শাহজাহান সিরাজের ইয়াবা আসক্ত বখাটে ছেলে শাহনেওয়াজ মুন্না (২৮)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

নিহত তাছনিম সুলতানা তুহিন ওই ভবনের নিচ তলায় বসবাসকারী গড়দুয়ারা ইউনিয়নের আবুল হাসেম সারাং বাড়ীর আবু তৈয়বের কন্যা ও হাটহাজারী গালর্স হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

তুহিন হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শাহনেওয়াজ মুন্না হাটহাজারী পৌরসভার চন্দ্রপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়ার ডাঃ শাহজাহান সিরাজের ছেলে।

পুলিশ ও পরিবারের ধারণা স্কুলছাত্রী তুহিনকে ধরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে আথবা ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গোপন করা হয়েছে।

.

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, তুহিনকে হত্যাকারী মূল আসামী মুন্নাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এর সাথে অন্য কেউ জড়িতে থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

নিহত তুহিনের বড় ভাইয়ের নামও মুন্না, তিনি জানান, তার পিতা-মাতা হজ্ব পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট শিক্ষক তুহিনকে পড়াতে আসেন। এসময় ভবনের নিচ তলা থেকে ২য় তলায় পড়তে যাওয়ার কথা থাকলেও সে যায়নি। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া না যাওয়ায় হাটহাজারী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।

উল্লেখ্য শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাটহাজারী পৌর এলাকার শাহজালাল পাড়া সালাম ম্যানশন থেকে নিখোঁজ হন ওই ভবনের আবু তৈয়বের কন্যা ও হাটহাজারী গালর্স হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তুহিন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি রুজু করা হয় সেদিন।

থানার সামনে তুহিনের স্বজনদের আহাজারী।

তুহিনের স্বজনরা জানায়, তার পিতা-মাতা হজ্ব পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। সন্ধ্যায় প্রাইভেট শিক্ষক তুহিনকে পড়াতে আসেন। এসময় ভবনের নিচ তলা থেকে ২য় তলায় পড়তে যাওয়ার কথা থাকলেও সে যায়নি। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম জানান, তুহিন নিখোঁজের পর থেকে ঘাতক মুন্নার আচরন সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার রাতে মুন্নার বাবা মা বাসায় না থাকায় তার প্রতি সন্দেহ আরো বাড়তে থাকে। পরদিন মুন্নার বাবা মাকেও গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। পুলিশও মুন্নাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।

নিহত তুহিনের অপর মামা এরশাদ মাসুম বলেন, আমার ভাগনীর খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। খুনি যেন আইনের ফাঁক ফোরক দিয়ে ছাড়া না যায় সে দাবী জানাই।

*হাটহাজারী থেকে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ, পরিবারের সন্দেহ অপহরণ