অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ নেতাকর্মীদের

1
সভাপতি মাহমুদুল করিম  ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। তবে এ অনুমোদিত কমিটি নিয়ে অন্তোষ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে।  অনেক নেতা এই কমিটিকে রাতের অন্ধকারে পকেট হিসেবে অবহিত করেছেন।  অনেকে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় বিক্ষোভ ও চকবাজার কলেজ রোড অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের মেয়র আ জ ম নাছির গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।

তারা রাস্তায় টায়ার জালিয়ে প্রতিবাদ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  এসময় কর্তব্যরত সাংবাদিক আখতার হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি ও সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেয় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাসান ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরী।

কমিটির সহ-সভাপতিরা হলেন কমর উদ্দিন, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী টুটুল, মনিরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মো. ওবায়েদুল হক, মোস্তফা কামাল, জাবেদুল ইসলাম জিতু, মোক্তার হোসেন রাজু ও শাজাহান সম্রাট।

যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন চৌধুরী, ইউসুফ কবির, স্বরূপ রায় সৌরভ ও উথিলা মারমা। সাংগঠনিক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম দুর্জয়, হায়দার আলী, মোহাম্মদ বেলাল ও আনন্দ মজুমদার। দপ্তর সম্পাদক আবদুল কাদের হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন সোহেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আবু নাঈম মো. হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক খন্দকার নায়েবুল আজম, উপ শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক রিফাত হোসেন।

.

 কমিটি ঘোষণার পর থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।  কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ কমিটি মানতে নারাজ।  তারা এ কমিটিকে শিবির ছাত্রদলের কমিটি বলে আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পাওয়া মোস্তফা কামাল তার ফেসবুকে লিখেছেন,রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে গঠিত কমিটি মানি না। ছাত্রদল ও শিবির দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাকে কমিটিতে সহ-সভাপতি দেয়া হয়েছে আমি স্বেচ্ছায় এই পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

যুগ্ন সম্পাদকের পদ পাওয়া মোহাম্মদ বেলাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “আরে চনুর বাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগে নিজেদের ঘর ঠিক করে পরে আসিস আমার ঘর ঠিক করতে। তোরা যে টাকা খেয়ে কমিটি করেছোস তা কমিটি দেখেই বুঝা যায়। এই কমিটি দেখেই মনে হয় কিভাবে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগ নেতা হয়। আামি এই বিতর্কিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি “

মোক্তার হোসেন আরজু নামে এক ছাত্রলীগ নেতা লিখেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত কমিটি বর্জন করলাম।

.

সহ-সভাপতির পদ পাওয়া শাহজাহান সম্রাট লিখেছে,নব-গঠিত ভুয়া চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।