অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষনের দাবি চবি প্রতিবন্ধী ছাত্র সমাজের সংবাদ সম্মেলন

0
.

চবি প্রতিনিধিঃ

১ম ও ২য় শ্রেণী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণের দাবি জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিবন্ধী ছাত্র সংগঠন ‘ডিসেবল স্টুডেন্ট’স সোসাইটি অব চিটাগং ইউনিভার্সিটি’ (ডিসকু)।

আজ মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ( চবিসাস) কার্যালয়ে চবি’র প্রতিবন্ধী ছাত্র সংগঠন ‘ডিসেবল স্টুডেন্ট’স সোসাইটি অব চিটাগং ইউনিভার্সিটি’ (ডিসকু) কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তারা।

সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ১ম ও ২য় শ্রেণী অর্থাৎ ৯ম গ্রেড থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরির প্রাথমিক নিয়োগে সকল ধরনের কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছেন কোটা পর্যালোচনা কমিটি। যার ফলে আমাদের মত প্রতিবন্ধীদের শেষ সুযোগটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে।

.

তিনি আরো বলেন, গত ১৩ আগস্ট জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীরা সুযোগ পায় না। কাজেই তাদের জন্য এখানে কোনো কোটার প্রয়োজনীয়তা নেই। অথচ ৩৯ তম বিসিএসে আমাদের বেশ কয়েকজন ভালো করা সত্ত্বেও আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১% কোটার যথাযথ ব্যবহার হয়নি।

এ প্রসঙ্গে ভারত সংবিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে ভারতের সংবিধান স্বীকৃত একটি পোস্টের ৩৩ নং অনুচ্ছেদে (Person with Disability) নামে একটি কোটা সংযোজন করা হয়। যেখানে সকল সরকারি চাকরিতে ৩% প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে এটাকেও তারা প্রতিবন্ধীদের জন্য যথেষ্ট না বলে মনে করে ৫% এ বর্ধিত করেন।

তাছাড়া বিশ্বের প্রতিটি দেশেই প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান কোটা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা অবহিত করা হলেও বিষয়টি আজও আমাদের কাছে পরিষ্কার না।
তাই আগামী রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এর মধ্যে প্রতিবন্ধীদের চাকরিতে নিয়োগের সুস্পষ্ট রুপরেখা দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানাচ্ছি। অন্যথায় আগামী রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে আমরা মানববন্ধন করবো। এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রধানমন্ত্রীর নিকট কয়েকটি দাবী তুলে ধরেনঃ-

১. ১ম ও ২য় শ্রেণীর সহ সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে আমাদেরকে যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি করার সুযোগ দেয়া হয়। এবং এ মর্মে নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ করা হয়।

২. দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি করা হয়।

৩. প্রতিবন্ধীদের ভিন্ন ভিন্ন কেটাগোরিতে বিভক্ত করে যার যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন সে ব্যবস্থা করা হয়।

৪. প্রতিবন্ধী কোটা যেন নূন্যতম ৫% করা হয়।

৫. প্রতিবন্ধী আইনকে যেন সময় উপযোগী করে তোলা হয়।

৬. প্রতিবন্ধী শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করানো এবং বিভিন্ন কর্মসংস্থায় প্রতিবন্ধীদের যোগ্যতা থাকা সত্বেও অবজ্ঞাকারীদের বিরুদ্ধে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।