অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালীতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপ সজ্জার কাজ

0
.

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বোয়ালখালীতে মণ্ডপ গুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা গড়ার কাজ, চলছে মণ্ডপের অবকাঠামো তৈরি।

অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে আসছে আর বেশি সময় নেই। তাই পূজা আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামের পূজা মণ্ডপ কমিটি সদস্যরা।

মৃৎশিল্পীরাও খড়, মাটি, কাঠ, বাঁশ নিয়ে প্রতিমার গড়তে ব্যস্ত। কাঁচা প্রতিমা গড়া হলে তা শুকানোয় কিছুদিন সময় দিতে হবে। এরপর রং করে কাপড় আর সাজসজ্জা কাজ শুরু হবে।

পূজো চলাকালীন সময়ে আনন্দ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে এখন। পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটও ছাপানো হচ্ছে দর্শনার্থী পূজার্থী পূর্ণ্যাথীদের উদ্দেশ্যে। শুভেচ্ছা জানিয়ে নিত্য নতুন ডিজাইনের নিমন্ত্রণপত্রও বাদ যাবে না এর থেকে।

.

জ্যৈষ্ঠপুরা মৈত্রী সংঘ ও দেবেন পাঠাগারের উদ্দ্যোগে নানা কর্মসূচিতে দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে করে গেছেন মৃৎশিল্পী মঙ্গল পাল। এবার রং করার পালা। কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সনজয় মহাজন জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে দুর্গোৎসব পালন করে আসছে জ্যৈষ্ঠপুরা মৈত্রী সংঘ ও দেবেন পাঠাগার। এবারের পূজোয় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বাজেট রয়েছে। এর মধ্যে দেড় লক্ষ টাকায় প্রতিমা তৈরি ও ম-প তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১ লক্ষ ৩০হাজার টাকা। এছাড়া রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

হোরারবাগ মাতৃমন্দির পল্লী মঙ্গল সমিতিতেও চলছে পূজোর নানা আয়োজন। পূজা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র লাল বৈদ্য বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পূজোর আয়োজন চলছে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মৃৎশিল্পীদের চাহিদা বেশি। ম-পে প্রতিমা তৈরিতে এবার ব্যয় হচ্ছে ৪০হাজার টাকা।

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশের ন্যায় একযোগে ষষ্টী পূজোর মধ্য দিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার ৮৩টি সার্বজনীন পূজো ম-পে শুরু হবে দুর্গা পূজা। ১৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ দুর্গোৎসব। আনন্দঘন পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বোয়ালখালী শাখার সাবেক সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস।