অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এবার গায়েবী মামলার আসামী যুক্তরাজ্য অবস্থানকারী চার যুবক!

0
.

মৃত্যু ব্যাক্তির নামে ককটেল ছোড়ার গায়েবী মামলার পর এবার যুক্তরাজ্য অবস্থানকারী চার যুবকের নামে গায়েবী মামলা হয়েছে ঢাকার চকবাজার থানায়। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সমর্থনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছিল বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীরা। এসব তরুণদের মধ্যে অনেকেই ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তৎপর। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এদের অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দু’মাস পূর্ব থেকে।

সব চাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, লন্ডনে অবস্থান করলেও ঢাকার চকবাজার থানায় গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এদের মধ্যে দায়েরকৃত মামলার চার আসামী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। এরা হচ্ছে সালমান সাদী, আল নাহিয়ান বিন মুরাদ, রিদওয়ানুল করিম ও মো: রিফাত মাহমুদ ভূঁইয়া।

এরা ২০১০ ও ২০১১ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডন শহরে অবস্থান করছেন। পড়াশোনার সঙ্গে এরা যুক্ত। পুলিশের উক্ত কর্মকর্তা মামলার এজহারে উল্লেখ করেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি চলাকালে কারা অধিদপ্তরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উক্ত বিশেষ আদালতের পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা টাওয়ারের সামনে স্থানীয় বিএনপি নেতারা মিছিল বের করে। পুলিশ বাঁধা দিলে তারা পুলিশের উপর হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। এতে ৪৭ জন অজ্ঞাতনামা আরো অনেককেই আসামী করা হয়।

মামলার এজহারে চকবাজার থানা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ ছাড়া অনেকের নাম রয়েছে যারা চকবাজার বিএনপি’র কেউই নয়। এদের মধ্যে চারজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাত্র ও যুবক রয়েছে। এদের মধ্যে ৩জন ২০১০ সাল থেকে পূর্ব লন্ডনে অবস্থান করছেন অপর একজন ২০১১ সাল থেকে লন্ডনে পড়ালেখা করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশের তালিকায় আরো অনেকের নাম রয়েছে যারা বিদেশে ছাত্র আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ে প্রবাসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করায় তাদের এসব মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরত আসার পর বিএনপি ও ছাত্র দলের ৩ জন নেতাকে সিলেট ও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।