অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবি’র দুই শিক্ষককে বরখাস্তের আধা-ঘন্টা পরেই আদেশ প্রত্যাহার

0
 
.

চবি প্রতিনিধিঃ

পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগের দুই শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বরখাস্ত করার আধ ঘন্টা পার না হতেই বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ শামশুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরখাস্তের এ তথ্য জানানো হয়। এর আধা ঘন্টা পরেই আবার এ বরখাস্ত প্রত্যাহার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন, চবি সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুপ্তিকণা মজুমদার ও সহকারী অধ্যাপক শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহামেদ বলেন, আধ ঘন্টার মধ্যেই দুই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নাটকীয়ভাবে এর আগের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ পরিবর্তন হলেও প্রাথমিক তদন্তে অপরাধ গুরুতর নয় বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের জন্যে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ সামশুল আলম স্বাক্ষরিত বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার কাজে অনিয়মের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত প্রতিবেদন ও ৫১৬ তম সিন্ডিকেট সভার ৮ নং সিদ্ধান্তে উপাচার্যের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংস্কৃত বিভাগের দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। চবি কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খল) সংবিধির ১৫(বি) ধারানুসারে এই বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধ বিবেচনায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে,অধিকতর তদন্তের জন্য আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে সুপ্তিকণা মজুমদার পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ২০১৩ সালে পরিক্ষার একটা ঘটনা এটা। ওই পরিক্ষায় শিরোনামে একটা ভুল হয়েছিল। এ নিয়ে অভিযোগ লিটন মিত্র। এটা একটা মিথ্যা অভিযোগ করা আমার বিরুদ্ধে, শুধু শুধু ঝামেলা পাকানোর জন্য। শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে একটা সমাধান করা হয়েছে সেহেতু এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।