অধরা শিরোপার আশায় এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন-মিরাজের ১২০ রানের উড়ান্ত সূচনার পরও মাত্র ৩১ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চাই ইউকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬৬ (৩৮ ওভার) রান। লিটন ৮৭ বলে তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম ওডিআই শতক। অপরপ্রান্তে এখন তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন সৌম্য সরকার।
মিরাজ ৫৯ বলে ৩২ রান করার পর যাদবের বলে রাইডুর হাতে ধরা পরেন। চাহালের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ১২ বলে ২ রানে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
পরবর্তীতে আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানের ইনিংস খেললেও এদিন ৯ বলে ৫ রান করে ফিরেন মুশফিকুর রহিম।
এতেই শেষ হয়ে যায়নি, গত ম্যাচে অর্ধশতক করা মোহাম্মাদ মিঠুনও খেলতে পারলেন না আজ। ৪ বলে ২ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে ক্রিজে থিতু হয়েও ১৬ বলে ৪ রান করে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়ায় ১৪তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ একাদশে আনা হয়েছে একটি পরিবর্তন। ব্যাটসম্যান মমিনুল হকের বদলে জায়গা পেয়েছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
এশিয়া কাপের এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর মিলিয়ে তিনটি জয় ও দুটি পরাজয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত এখনো টুর্নামেন্টে হারের স্বাদ পায়নি। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হারতে ড্র করেছে তারা।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। গত টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে ১ রানে হারে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ভুলের কারণে এই পরাজয় কান্নার সাগরে ভাসিয়ে দেয় টাইগার ভক্তদের।
এছাড়া সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে এসে পরাজয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচেও এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা টাইগাররা উপহার দেবেন এমন প্রত্যাশাই সবার। আর টাইগাররা যতি তাদের সেরাটা উপহার দিতে পারে তাহলে শিরোপার খরাটাও ঘুচবে এমনটাই মনে করেন কোটি কোটি টাইগার সমর্থক।
কাগজে কলমে ভারত অনেক শক্তিশালী দল। অন্যদিকে বাংলাদেশ শিবিরে রয়েছে ইনজুরির ক্ষত। ইনজুরিতে পড়ে দলে নেই তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। পাশাপাশি মাশরাফি এবং মুশফিকুর রহিমও ইনজুরি নিয়েই খেলছেন। এছাড়া আবুধাবি থেকে দুবাইয়ে গিয়ে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তাই ভ্রমণের ক্লান্তিও রয়ে গেছে দলে।
তবে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিডল অর্ডারে দারুণ ছন্দে থাকা মোহাম্মাদ মিঠুন ও ইমরুল কায়েস এবং বাকি দুই একজন ব্যাটসম্যান যদি তাদের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করতে পারেন তাহলে ভালো কিছুই হতে পারে।
এছাড়া বল হাতে এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৮টি) উইকেট শিকারি মুস্তাফিজুর রহমান, স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, অধিনায়ক মাশরাফি ও রুবেল হোসেন যদি জ্বলে উঠতে পারেন তাহলে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপাও ঘরে তুলতে পারবে টাইগাররা।