অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গায়েবি মামলা কাকে বলে…!

0
.

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এখনও তিনি দেশে ফেরেননি। অথচ ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় সমাবেশে তিনি ‘সরকারবিরোধী উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন এমন অভিযোগ পুলিশের।খসরুসহ বিএনপির শীর্ষ ১০ নেতার উসকানিতেই মগবাজারে পুলিশকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুরসহ নাশকতা হয়েছে; এমন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে নবগঠিত হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

তবে বিদেশে অবস্থানরত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকায় দেখানো এবং তাকে আসামি করে দায়ের করা আলোচিত এক মামলায় শঙ্কিত বিএনপি নেতারা। এমনকি পুলিশ সদস্যরাও বিব্রত। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দলটির ৫৫ নেতা এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকার বিএনপি নেতা। হাতিরঝিল থানা এলাকায় বসবাসকারী আসামিদের প্রত্যেকের নামের সঙ্গে বাবার নাম, বসবাসের ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশের দায়ের নাশকতার বিভিন্ন মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়েরকৃত মামলায় এজাহারনামীয় অধিকাংশ আসামির শুধু নাম উল্লেখ করা। তবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দায়েরকৃত মামলাগুলোতে আসামিদের বাবার নাম ও ঠিকানাও থাকছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘গত নির্বাচনের পর সরকার পুলিশ দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঢাকা মহানগর এলাকায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের তথ্য সংগ্রহ করে। এখন সেই ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম দেখে দেখে পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করছে। এতে আসামির তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না বিদেশে অবস্থানরত এমনকি মৃত ব্যক্তিও।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে আষাঢ়ে গল্পের একটা ফরমেট সবসময় প্রস্তুত থাকে। সময়মতো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সেগুলো ব্যবহার করা হয়। এবারেও পুলিশ তাই করেছে।’