অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না

0

গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে, তিনি সেই মামলায় জামিনে আছেন। কিন্তু সরকার উদ্ভট কিছু নতুন মামলা দিয়ে তার জামিন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। তারা সরকারের জুলুম নির্যাতনকে এখন আর ভয় পায় না। বরং সরকারই বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের আতংকে ভুগেন। ওবায়দুল কাদের বিটিভি দেখে নিজের হতাশা থেকে ভয় পেয়ে বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম হতাশাজনক বলে মন্তব্য করছেন। ।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। তপশীল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে অন্যায়ভাবে কারান্তরিন করে রেখেছে তা আওয়ামি লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। গতকাল তাদের নির্বাচনী প্রচারণার পথসভায় হানিফ বলেছে তফসিলের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব না। এর আগে সাবেক প্রধান বিচাপতি এস কে সিনহা তার বইতে লিখেছে আদালতে যে রায় দেয়া হয় তা অন্য জায়গা থেকে আসে। এতেই প্রমাণিত হয় দেশে আজ আইনের শাসন নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। আমরা অপরাধী না। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া ও এরশাদ স্বৈরচারী সরকার হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন শেখ হাসিনাও স্বৈরচারী সরকারের খাতায় নাম লিখিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন স্বৈরচার সরকার ঠিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নূরী আরা সফা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, ছৈয়দ আহমদ, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজউল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ ছৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু।, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সালাহউদ্দিন, মো. সামশুল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, আবদুল নবী প্রিন্স, ডা. এস এম সরওয়ার আলম,সহদপ্তর সম্পাদক আদ্রিস আলী প্রমুখ।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্র ঘোষিত ৭ দফা দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি পেশ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।