“চট্টগ্রাম আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার টার্গেট ছিল জঙ্গিদের”
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জঙ্গি আস্তানা থেকে একটি এ-কে টুয়েন্টিটু রাইফেল ৫টি তাজা গ্রেনেড, ৩টি পিস্তলসহ অজ্ঞাত দুই জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অভিযান চলার পর আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় বোমা ডিসপোজাল টিম অভিযান শেষে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এই তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ গঠিয়ে আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার টার্গেট নিয়ে মীরসরাইয়ের এই বাড়িতে আস্তানা গড়ে তুলেছিল জেএমবির একটি গ্রুপ।
এখান থেকে উদ্ধার করার এ-কে টুয়েন্টিটু রাইফেল ব্যবহার হয়েছিল ঢাকার হলি আর্টিজেনে জঙ্গি হামলার সময়।
এ র্যাব বলেছেন, অভিযান শেষে একতলা ওই টিনশেড বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ‘চৌধুরী ম্যানশন’ নামে ওই বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি টিম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটা থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ের সোনা পাহাড়ের রাস্তার পুর্ব পার্শ্বের বাড়ীটি ঘিরে রাখে।
ভোর চারটার দিকে জঙ্গিরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিতর থেকে গুলি করতে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে জঙ্গিরা অবস্থা বেগতিক দেখে ভিতর থেকে পর পর বেশ কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরন ঘটায়।
র্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) মুফতি মাহমুদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান। বাড়ীর কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেএসআরএম এর কর্মচারী পরিচয়ে প্রথমে দুজন এ বাড়ীতে রুম ভাড়া নেয়। পরে আরো লোক সম্পৃক্ত হয় তাদের সাথে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মজাহারুল ইসলাম চৌধুরী কিছুদিন ঘরসহ জায়গাটি কিনে নেন। টিনসেড সেমিপাকা বাড়ীটির পাঁচটি রুম রয়েছে। ভিতরে কতজন লোক রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।