অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুদিপ্ত হত্যার নির্দেশ দাতার পরিচয় প্রকাশ না করায় ছাত্রলীগের ক্ষোভ

0
.

দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদিপ্ত হত্যার এক বছর পর হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে নগর ছাত্রলীগ।

আজ শনিবার (০৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- সুদিপ্ত খুনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও খুনের নির্দেশ দাতার পরিচয় প্রকাশ করেনি। তারা এখনো আড়ালেই থেকে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, ‘সুদীপ্ত বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় ইতোমধ্যে মূল আসামিসহ প্রায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে। তবে ঘটনার মূল হোতা ও নির্দেশদাতাদের নাম এখনো আড়ালেই থেকে গেছে।’

‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে” বাক্যটির প্রতিফলন ঘটছে উল্লেখ করে ইমু বলেন, আসামিদের কাছ থেকে নেওয়া জবানবন্দিতে মূল নির্দেশদাতাদের নাম আড়াল করতে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রশাসনের চেষ্টা আছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে মূল আসামি ও নির্দেশদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করার। কিন্তু অনৈতিক প্রভাব আর মহলবিশেষের কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া।

ইমু বলেন, ‘পুলিশ আমাদের জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডে ২০ জন চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে মূল হত্যাকারীসহ ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে ঘটনার মূল হোতা বা নির্দেশদাতার নাম এখনও আড়ালেই রয়ে গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি, আসামিদের জবানবন্দিতে যাতে হত্যার মূল নির্দেশদাতার নাম না আসে, সেজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমু বলেন, পুলিশের ওপর নিশ্চয় অনৈতিক চাপ আছে, যাতে তারা মূল নির্দেশদাতাকে না ধরেন কিংবা তার নাম যেন না আসে সেটার ব্যবস্থা করেন। না হলে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেওয়ার পরও কেন নির্দেশদাতাকে ধরা হচ্ছে না?’

অনৈতিক চাপের বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

 সুদিপ্ত খুনের নির্দেশদাতা কে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা ইমু তা ক্লিয়ার জবাব দেননি। তিনি বলেন, এটা পুলিশ বের করবে। পুলিশের চেষ্টা আছে নির্দেশদাতাকে আইনের আওতায় আনার। তবে অনৈতিক প্রভাব আর মহল বিশেষের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বিচার। এই মামলার অভিযোগপত্রও এখনও পুলিশ দিতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ নেতারা ছিলেন।

উল্লেখ্য গত বছরের ৬ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা সদরঘাট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১১ আসামির সবাই চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।