অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালীতে মেধস আশ্রমে নানা আয়োজন

0
.

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা ঘটবে ৮ অক্টোবর সোমবার। এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ শারদীয়া দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ লক্ষে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গা সন্ন্যাসী পাহাড় চূড়ার মেধস আশ্রমে চলছে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি।

চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমে চন্ডীপাঠ, পূজা, ঢাকের বাদ্য, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনে বৈজয়ন্তী ধ্বজা উড্ডয়নের মাধ্যমে দেবীপক্ষের উদ্বোধন, আলোচনা সভা, ভোগরাগ, প্রসাদ বিতরণ ও মাতৃগীতাঞ্জলী অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন পূণ্যার্থী, পূজার্থী ও দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে দুর্গা পূজার উদ্ভবস্থল মেধস আশ্রম।

.

এ আশ্রম থেকেই সর্ব প্রথম দেবী দূর্গার আরাধনা শুরু হয়েছিল বলে পৌরাণিক উপাখ্যানে উল্লে¬খ রয়েছে। পুরান মতে, পুরাকালে দেবী ভগবতীর আর্বিভাব ঘটে এ আশ্রমে। রাজ্যহারা রাজা সুরথ ও স্বজন পরিত্যক্ত সমাধি বৈশ্য উপস্থিত হয়েছিলেন মেধা মুনির আশ্রমে। মেধাশ্রমে মুনিপদে তাঁদের দুঃখের কথা ব্যক্ত করেন। মেধা ঋষি সুরথ ও সমাধি বৈশ্যের জাগতিক দুঃখ-দুর্গতির কথা শুনে মুনি তাঁদের শোনালেন, ‘মধুময়ী চন্ডী’।

মেধা ঋষির উপদেশ শুনে সুরথ ও সমাধি বৈশ্য অরণ্য অভ্যন্তরে ঋষি মেধসের আশ্রমে মৃন্ময়ী মুর্তি গড়ে সর্বপ্রথম মর্ত্যলোকে দশভূজা দুর্গাদেবীর পূজা শুরু করেছিলেন। বসন্তকালে এ পূজা আয়োজন করায় একে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শ্রীরাম চন্দ্র শরৎকালের পূর্ণিমা তিথিতে অকাল বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর পূজা করেছিলেন। ফলে রাম চন্দ্রের সেই পূজো শারদীয়া দুর্গাপূজা হিসেবে প্রচলন ঘটে।