অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আজ মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ, কৌশলী বিএনপি

0
.

আজ বুধবার (১০অক্টোবর) বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষনা করা হবে। রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি যেন কোন নাশকতা করতে না পারে সেজন্য নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এই রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপিও মাঠে থাকার ঘোষনা দিলেও এখন সে অবস্থান থেকে ফিরে এসে অনেকটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি রায় দেখে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে বলে দলের নেতারা বলছেন।

এর আগে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে কেন্দ্র করে আগামীকাল নগরীর লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। লালদীঘিতে অনুমতি না পেলে দলীয় কার্যালয় মাঠে তারা অবসন্থান নেয়ার ঘোষনা দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের অনমুতি না পাওয়ায় সেই কর্মসূচী থেকে পিছু হটেছে বিএনপি। তারা আগামী ১৩ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করার জন্য আবারও অনুমতি চেয়েছে নগর পুলিশের কাছে।

এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে উত্ততপ্ত হয়ে উঠছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। রায় বিপক্ষে গেলে প্রতিবাদ জানাতে মাঠে থাকার ঘোষনা দিয়েছিল বিএনপি। অন্যদিকে রায়কে কেন্দ্র করে যে কোন ধরণের নাশকতা মোকাবিলায় মাঠে থাকার ঘোষনা দিয়ে আওয়ামী লীগও।

আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ১০ অক্টোবর একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অনেক বিএনপি নেতার সর্বোচ্ছ শাস্তি হতে পারে। তাই বিএনপি নগরীতে নাশতা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে তারা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আজ ৯ অক্টোবর থেকে সকল নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা অবস্থান নিতে ইতোমধ্যে নগরীর ১৭টি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত ১৭ স্পটগুলো হলো-নগরের দারুল ফজল মার্কেট চত্বর, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড, আন্দরকিল্লা মোড়, ২১ নম্বর জামালখান, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ও অক্সিজেন মোড়, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি, ৩১ নম্বর আলকরণ, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ড, দেওয়ানহাট মোড়, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী, ১৪ নম্বর লালখান বাজার, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ও ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড।

.

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন,১০ অক্টোবর নারকীয় বোমা হামলার বিচারিক রায় ঘোষণার দিনকে কেন্দ্র করে নারকীয় তান্ডব ঘটানোর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীল পাশে থাকবে। এক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারীদের তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। জনগণের জান-মাল রক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে যা কিছু করা প্রয়োজন সেই নৈতিক সাহস সঞ্চয় ও চেতনা ধারণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ৯ থেকে ১১ অক্টোবর রাজপথেই থাকবে।

জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ফারুক পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ১০ অক্টোবরকে ঘিরে বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তাই জনগণের জানমাল রক্ষায় সেদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। সবাই নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নিবে । এছাড়াও আমরা ১৭টি স্থান নির্ধারণ করেছি। একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতরা সর্বোচ্ছ শাস্তি পাবে বলে আশা করেন তিনি।

নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদত হোসেন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, কাল গ্রেনেড হামলার রায় হতে পারে।  এই রায়কে কেন্দ্র করে সরকারি দল অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টা করছে। রায় যাই হোক আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবো। আগামীকাল আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। তাই আমরা আগামী ১৩ তারিখ লালদীঘিতে সমাবেশ করতে আবারও অনুমতি চেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হলো সন্ত্রাসীদের দল। তাই তারা কাল রায়কে কেন্দ্র করে অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষনা দিয়েছে। তাদের মধ্যে জনভীতি কাজ করছে। তাই তারা নগরীতে কাল সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিএনপি হলো ভদ্র মানুষের দল। আমরা অস্ত্র ও লাঠিকে বিশ্বাস করিনা। তাই আমরা আগামীকাল আপাতত কোন কর্মসূচী রাখছিনা

এবিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, একুশে আগষ্টের রায়কে কেন্দ্র করে আমরা ভীত নয়। কারন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে বিএনপি জড়িত নয় বরং আওয়ামী লীগই জড়িত। এই রায়কে কেন্দ্র করে তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্যে থাকতে পারে তাই তারা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান নিতে চায়। বিএনপি জনগণের দল। এই রায় নিয়ে সরকার বিএনপি কোন নেতৃবৃন্দকে সাজা দিলে বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।