অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাকার রায় ফাঁসের মামলার রায় পিছিয়ে গেছে

1

Shaka-ray--humamমানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) রায়ের খসড়া কপি আগেই ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী-ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় রবিবার (১৪ আগস্ট) হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম এ রায় লিখে শেষ করতে না পারায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ২৮ আগস্ট ধার্য করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম জানিয়েছেন, এ মামলার রায় লিখে শেষ করা সম্ভব হয়নি। তাই রবিবার রায় ঘোষণা দেওয়া হবে না।

এর আগে ৪ আগস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সে রায় ঘোষণার আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপিও সংবাদকর্মীদের দেখান।

রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রের অপর আসামিরা হলেন-সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম (কারাগারে), সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান (কারাগারে), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন (কারাগারে), পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী (কারাগারে) ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান (পলাতক)।

২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

১ টি মন্তব্য
  1. Mohammed Zubair Alim Shuvo বলেছেন

    Hahaha