মুরাদপুরে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা অসীম রায় নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে অসীম রায় বাবু (২৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার র্যাব সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে মুরাদপুর মোড়ের এক নম্বর রেল গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আসীম রায় বাবু চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল গ্রামের গুরুসদয় রায়ের ছেলে এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।
বন্দুকযুদ্ধে আহত র্যাব সদস্যরা হলেন-র্যাব-৭ এর স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম, মেজর মেহেদী হাসান, লেন্স কর্পোরাল আরিফ ও লেন্স কর্পোরাল শহীদ।
র্যাবের সহকারী পরিচারক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানায়, মুরাদপুর মোড়ের এক নম্বর রেল গেট এলাকায় র্যাব মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে অভিযানে যায়। এ সময় র্যাব একটি প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দিলে গাড়ি থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে মাদক ব্যবসায়ী অসীম রায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুঁড়লে অসীম রায় বাবু নামে একজন নিহত হয়। এসময় কারের অপর দুইজন পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, অসীম রায় বাবুর ছোঁড়া গুলিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম গুলিবিদ্ধন হন। এছাড়াও আহত হন আরো তিন র্যাব সদস্য। তাদের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কারে করে বায়েজিদের দিকে যাচ্ছিল।
এদিকে দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় পালিয়ে যাওয়া প্রাইভেটকার চালক পরে সাংবাদিকদের জানায়, নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার থেকে তার মালিক আসীম রায়কে নিয়ে বায়োজিদ অক্সিজেন যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১১টার একটু পর কারটি মুরাদপুর রেল ক্রসিং এ পৌছলে। রেলক্রসিং এর গেইট পড়ে। তখন গাড়ি থামার কয়েক মিনিটের মাথায় দেখি কিছু লোক গাড়ির সামনে এসে দাড়িয়ে থাকাতে থাকলে আমার মালিক বলে আপনারা কারা কি চান। বলতে বলতে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। তখন আমি ভয়ে পালিয়ে যাই।
অপর এক প্রতক্ষ্যদশী জানান, রেলক্রসিং এ প্রাইভেটকারটি থামার সাথে সাথে পিছন থেকে র্যাবের গাড়ি আসে। তখন দেখতে পাই প্রাইভেটকার থেকে একজন নেমে সরাসরি র্যাব সদস্যদের দিকে সরাসরি ফায়ার করতে থাকে। এতে র্যাবের ৩/৪ জনের গায়ে গুলি লেগেছে। তারা তাকে দৌড়ানোর সময় পিছর থেকে আরো র্যাব সদস্যরা এসে সরাসরি তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলে সে পড়ে যায় এবং সাথে সাথে মারা যায়।
RAB সঠিক কাজ করেছে। আইন সবার জন্য যে সমান, তা সরকার আবারও প্রমাণ করেছে। দলীয় লোক বলে সে পাড় পেয়ে যাবে তা সবসময় সঠিক নয়। ইয়াবা এখন বড়ো সমস্যা, তা এইভাবেই রোধ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ভুল তথ্যে যাতে কোন নিরপরাধী হয়রানি বা মারা না যায়।