অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অবৈধ পাকিং, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলমের ক্ষমতার দাপট! (ভিডিও)

2
.

চট্টগ্রাম মহানগরের ব্যস্ততম সড়কের উপর  অবৈধ পার্কিং করে রাখা প্রাইভেটকার সরিয়ে নিতে বলায় ট্রাফিক পুলিশকে হাইকোর্ট দেখালেন ঘানিভাঙা রেখা শরিষার তৈলের মালিক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী।

তবে ব্যস্ততম সেই সড়ক থেকে কার সরিয়ে না নিয়ে ওই কারের উপর থাপড়িয়ে নিজের ক্ষমতার কথা জানান দেন তিনি। আর সেই সময় দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করে কোনো এক পথচারী ছেড়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

এমন একটি ভিডিও পাঠক ডট নিউজের কাছে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, সড়কের উপর কার পার্কিং করে রাখার কারণ জানতে চায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। এ সময় তিনি মামলা দেয়ার দেয়ার এগিয়ে যান। তবে সে সময় দায়িত্বরত ট্রাফিক সাজেন্টকে ধমক দিয়ে ক্ষিপ্ত কন্ঠে রেখা আলম বলেন, নারীদের সম্মানদিতে জানেন না। সম্মান দিয়ে দেখে শুনে কথা বলবেন, জানেন আমি কে? আমি প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী।

.

ওই সময় পাশ থেকে একজন পথচারী জানান, এটা আ.জ.ম নাসিরের গাড়ী। আর কারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট জিজ্ঞেস করেন, আপনি কে? পরিচয় দিন। আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। ব্যস্ততম সড়কে গাড়ী পার্কিং করলেন কেন? জনপ্রতিনিধিরাতো জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে না। সে সময়েও রেখা আলমকে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়, গিয়ে বলুন, প্যানেল মেয়র রেখা আলম
চৌধুরীর গাড়ী।

ততক্ষণে ট্রাফিক পুলিশের সেই সার্জেন্ট বলেন, আমরা কি করতাম, রাস্তার মাঝে গাড়ী রাখবেন। আবার সরিয়ে নিতে বললে চটে যাবেন। সড়কতো শুধু আপনার না! সে সময় সে সার্জেন্ট বলেন, না ম্যাডাম! সব দোষ আমার, কারণ ম্যাডাম আমি ইউনিফর্ম পড়েছি!

এ সময় অপর এক পথচারী জানতে চান রাস্তার উপর গাড়ী রেখে যানজট সৃষ্টি করেছেন কেন? তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেখা আলমকে বলতে শোনা যায়, আপনি কে! কেন বলবো আপনাকে।

পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা বিশ মিনিটের দিকে নগরীর অন্যতম সড়ক রিয়াজুদ্দীন বাজারের মধুবনের সামনে রাস্তার প্রাইভেট কারপার্কিং করে রেখেছেন কেউ একজন। আর তার সেই কারের কারণে পুরো সড়কের দুই দিকে জ্যামসৃষ্টি হয়ে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে।

.

সেই জ্যাম নগরের রিয়াজুদ্দীন বাজার থেকে নিউ মার্কেট মোড় এবং অপরদিকে লাভলেইন মোড়ে গিয়ে ঠেকে। সে সময় জ্যামের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে সড়কের উপর পার্কিংকরে রাখা সেই কারটি পান। দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কাছে গিয়ে সেটি সরিয়ে নিতে বলতেই চটে যান সেই কারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা। নিজের ক্ষমতার দাফট দেখানোর পাশাপাশি অনেক খারাপ ব্যাবহার করেন সেই ট্রাফিক
সার্জেন্টে এর সাথে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, রেখা আলম নগর আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তবে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছেন। তিনি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি হয়ে গাড়ী অবৈধ পার্কিং করার পরেও কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্টের সাথে অসৌজন্য আচরন করলেন, তা সমচিন হয়নি।

এ বিষয়ে সিএমপির কোতোয়ালী জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ভদ্র মহিলা গাড়ীটি নো পার্কি এর স্থানে রেখে মার্কেটে গেছেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ীটি সেখান থেকে সড়াতে বললে ওই মহিলা উত্তেজিত হয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে খারাপ আচরণ করেন। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষে জাননো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে সেই রেখা আলমের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়েছে। তবে সংযোগ না পাওযায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

২ মন্তব্য
  1. টিটো বলেছেন

    মেয়েরাও মাদুশ

  2. আলী আবছার বলেছেন

    বাংলাদেশে আইন আছে, আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমরা যারা ক্ষমতাবান তাদের সহকর্মিরা(যেমন ড্রাইভার, পিয়ন,দারোয়ান, চাকর বাকর)ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহার করে ফেলে বেশী। কে ড্রাইভারকে রাস্তার মাঝে পার্ক করতে বলেছে? তার উচিত ছিলো নিয়ম মতো পার্কিং করা। আর পেনেল মেয়র রেখা আলম যদি বাড়াবাড়ি না করে, পুলিশের সামনে ঐ ড্রাইভারকে দুটা গালমন্দ করতো, তাহলে নিউজটা উনার পক্ষে আসতো। তবে বলতে হয়, পুলিশ আইনকে সমমান করেছে, পদকে নয়। সেলুট পুলিশকে,ধন্যবাদ।