অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে পাহাড় ও দেয়াল ধসে নিহত ৪

0
ছবিঃ এনাম হায়দার।

নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হিলভিউ ও আকবরশাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনীতে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পড়ে মা মেয়েসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ী মাটি নরম হয়ে ধসে পড়লে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে, ফিরোজশাহ কলোনীর ১নং ঝিল এলাকায় পাহাড় ধসে মা-মেয়েসহ ৩ জন এবং হিলভিউতে দেয়াল চাপা পড়ে নূরুল আলম নান্টু (৩০) একজন মারা যায়।

নিহতরা অপর ৩জন হলেন- নূর মোহাম্মদের স্ত্রী নূরজাহান (৪৫), তার মা বিবি জোহরা (৬৫) ও নুর জাহানের আড়াই বছরের মেয়ে ফজরুন্নেছা।

নূর মোহাম্মদের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার শান্তির হাট এলাকায়। আর বিবি জোহরার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানীগঞ্জে। চট্টগ্রামে তিনি মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

.

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম ও আকবর শাহ থানা পুলিশ দুটি ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস বায়োজিদ ষ্টেশনের ইনচার্জ এনামুল হক পাঠক ডট নিউজকে জানান, দেড়টার দিকে হিলভিউ আবাসিক এলাকার ৮নং রোড, বি-ব্লকে (রহমান নগর) বাড়ীর বাউন্ডারী দেয়ালের উপর পাহাড়ের একাংশ ধসেপড়ে। এতে দেয়ালটি ধসে পড়ে একটি বসত ঘরের উপর।

খবর পেয়ে বায়োজিদ স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চালায়। রাত আড়াইটার দিকে নূরুল আলম নান্টু একজনকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ২টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসকরা তার মৃত্যু ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির কনেস্টেবল শীলব্রত বড়ুয়া।

এ ঘটনায় পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম নূরুল আলম নান্টু (৩০) পিতা লালমিয়া। তিনি হিলভিউ বি-ব্লক এলাকার বাসিন্দা।

ছবিঃ এনাম হায়দার।

এদিকে আকবরশাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনীর ১ নং ঝিল এলকায় পাহাড় ধসে দুটি টিনশেট ঘরের উপর পড়লে ঘরের ঘুমন্ত সদস্যরা চাপা পড়ে।

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তারা জানান, তাদের কয়েকটি টিম রাত আড়াইটা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ভোরের দিকে মা মেয়েসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আজ রবিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রেজাউল কবির ঘটনাস্থল থেকে পাঠক ডট নিউজকে জানান, এ ঘটনায় আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। তাই উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। তবে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।