অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঘূর্ণিঝড় তিতলী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষির জন্য আর্শিবাদ!

0
.

ঘূর্ণিঝড় তিতলীর বৃষ্টি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট সহ এ অঞ্চলের কৃষক ও কৃষির জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছে। পানির অভাবে আমন ধানের ক্ষেত হলুদ হয়ে উঠেছিলো ফসলের চিন্তায় যখন দিশেহারা হয়ে পড়ছিলাম ঠিক তখন ঘূর্ণীঝড় তিতলি আমাদের উপর আল্লাহর রহমত বয়ে নিয়ে এসেছে।

কথা গুলো বলছিলেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল খালেক শেখ জানান। তিতলির প্রভাবে টানা তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে ফসলের মাঠ পানিতে ভরে গেছে। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি পেয়ে রাতারাতি ফসলের মাঠ সবুজ আকার ধারন করেছে। এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট সহ ১০ জেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এ অঞ্চলে বৃষ্টির উপর নির্ভর করেই কৃষকরা আমনের চাষ করে থাকেন । কিন্তু গত টানা এক মাস প্রচন্ড গরম ও খরায় আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছিলো। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো। খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক আঃ হক, চাল রায়েন্দা গ্রামের কৃষক সাইদ আহমদ এবং ধানসাগর গ্রামের কৃষক সুর্যকান্ত মিস্ত্রী জানান, গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে তাদের হতাশা দুর হয়েছে এখন আর জমিতে সেচ দিতে হবেনা।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, বৃষ্টির অভাবে আমনের কাংখিত উৎপাদন নিয়ে শংকায় ছিলাম সাম্প্রতিক বৃষ্টি আমনের বাম্পার ফলনের আশা জাগিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলতি রোপা আমন মৌশুমে চাষকৃত জমির মধ্যে ৪৮০০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৪৪৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন রোপন করা হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দশ জেলায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ হেক্টর জমিতে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলাওয়ারী রোপা ধান চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে-যশোর জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩,৫২,৫৩৭ মেট্রিক টন, নড়াইল জেলায় ৩০ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ৭৫ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ জেলায় ৮৭ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন, মাগুরা জেলায় ৫০ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন, কুষ্টিয়া জেলায় ৭৫ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯০ মেট্রিক টন, মেহেরপুর জেলায় ২৩ হাজার ৮০৪ হেক্টর জমিতে ৬৪ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪২ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৮ মেট্রিক টন, সাতীরা জেলায় ৯৮ হাজার ৯৯৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন, খুলনা জেলায় ৭৫ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন এবং বাগেরহাট জেলায় ৬৯ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। কৃষি ব্যাংকসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক আবাদ কার্যক্রম সফল করতে কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় লোনের ব্যবস্থা করে রেখেছে।

কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান, রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর ফসল বলে সেচ লাগেনা। তাই আমন আবাদ করে তারা লাভবান হবেন।

চরাঞ্চলে সদ্য পলি মাটি পড়া জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে ব্যাপক ভাবো। ধানের আবাদে কোন প্রকার রোগ বালাই নেই। বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান, আবাদ কালীন সময়ে কৃষকদের সর্বপ্রকার পরামর্শ দেওয়ার জন্য তিনি সহকারী কৃষি অফিসার (বিএস) দের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ গ্রামের প্রান্তিক চাষি মো. আব্দুল খালেক শেখ জানান, তিনি ২বিঘা জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছেন। এবারে ভাল ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে ইরি-বোরো ধান ও পাট কাটার পর রোপা ও বোনা আমন ধান আবাদ করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ অঞ্চলে উৎপাদিত ধান এলাকার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় রফতানী করা হয় বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সারা বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৪০.১৫ হেক্টর জমিতে এবং স্থানীয় জাতের ১২.০৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ১২৮.৩৬ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দশ জেলায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ হেক্টর জমিতে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলাওয়ারী রোপা ধান চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে-যশোর জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩,৫২,৫৩৭ মেট্রিক টন, নড়াইল জেলায় ৩০ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ৭৫ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ঝিনাইদহ জেলায় ৮৭ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন, মাগুরা জেলায় ৫০ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন, কুষ্টিয়া জেলায় ৭৫ হাজার ৪৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯০ মেট্রিক টন, মেহেরপুর জেলায় ২৩ হাজার ৮০৪ হেক্টর জমিতে ৬৪ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪২ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৮ মেট্রিক টন, সাতীরা জেলায় ৯৮ হাজার ৯৯৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন, খুলনা জেলায় ৭৫ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন এবং বাগেরহাট জেলায় ৬৯ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আবাদ কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। কৃষি ব্যাংকসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক আবাদ কার্যক্রম সফল করতে কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় লোনের ব্যবস্থা করে রেখেছে।

চরাঞ্চলে সদ্য পলি মাটি পড়া জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে ব্যাপক ভাবো। ধানের আবাদে কোন প্রকার রোগ বালাই নেই। বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান, আবাদ কালীন সময়ে কৃষকদের সর্বপ্রকার পরামর্শ দেওয়ার জন্য তিনি সহকারী কৃষি অফিসার (বিএস) দের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান,কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে ইরি-বোরো ধান ও পাট কাটার পর রোপা ও বোনা আমন ধান আবাদ করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ অঞ্চলে উৎপাদিত ধান এলাকার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় রফতানী করা হয় বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সারা বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৪০.১৫ হেক্টর জমিতে এবং স্থানীয় জাতের ১২.০৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ১২৮.৩৬ মেট্রিক টন।

কৃষকরা জানান, রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর ফসল বলে সেচ লাগেনা। তাই আমন আবাদ করে তারা লাভবান হবেন-

লেখকঃ- এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির।