অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৭২ বছরে পা রাখলেন খালেদা

1
kz-news-14.8.16
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭১তম জন্মবার্ষিকী সোমবার। তিনি পা রাখলেন ৭২ বছর বয়সে। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট পশ্চিম দিনাজপুরের (ভারতের জলপাইগুড়ি) এক সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন খালেদা জিয়া । বাবা-মা যার নাম রেখেছিলেন খালেদা খানম পুতুল। তার পিতা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার।

১৯৬০ সালে দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন খালেদা জিয়া। পরে দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (পরে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি) জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

জিয়া-খালেদা দম্পতির দুই সন্তান তারেক রহমান পিনু এবং আরাফাত রহমান কোকো। ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কোকো। তারেক বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। ১৯৮১ সালের ৩১মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন। এ সময় পর্যন্ত গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়া।

নেতা-কর্মীদের দাবির টানে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে রাজপথে নামেন খালেদা জিয়া। পরের বছর মার্চে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১০মে খালেদা জিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় তিনি আপোসহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। পরে আরও দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতাও হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন শুরু করেন। ওই বছর ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে জন্মদিন পালন করেন তিনি। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এই দিনটিতে কেক কেটে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা শুরু করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে অনেক সমালোচনাও রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে খালেদার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রয়েছে। পঁচাত্তরে পটপরিবর্তনের পর প্রথমে সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি হন জিয়া।

১৯৮১ সালে ৩০মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া নিহত হলে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তিন বছর পর চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। ১৯৯৬ সালের ১৫ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর কয়েকদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হলে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হারের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

১ টি মন্তব্য
  1. Md Abdul Hakim বলেছেন

    বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম’এর রেখে যাওয়া আদর্শের একমাত্র তরবারি, তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, আপসহীন দেশনেত্রী-
    ***দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার****
    ৭১ তম শুভ জন্ম বার্ষিকী
    শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা..