অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নানিয়ারচরে পর্যটকবাহি বাসে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি

0
.

আলমগীর মানিক,রাঙামাটিঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচরে পর্যটকবাহি গাড়িতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি করার ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে যাওয়া সেনাবাহিনীর গাড়ি একশো গজ গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ৮ সেনা ও আনসার সদস্যের সকলেই কম-বেশি আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর তিনজনকে হেলিকপ্টারযোগে প্রথমে চট্টগ্রাম সিএমএইচ পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বাহিনী সূত্রে জানাগেছে।

তারা হলেন- সৈনিক মামুন, সৈনিক মোজাম্মেল ও সৈনিক সাজু।

রাঙামাটি সেনানিবাসের একজন উদ্বর্তন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আহত অন্যান্যদের মধ্যে চারজন আনসার সদস্য ও একজন সেনা সদস্যকে রাঙামাটিস্থ রুমা সিএইমএইচ এ চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চট্টগ্রাম সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে পৌনে দশটার সময় এই দূর্ঘটনা সংঘঠিত হয়।

রাঙামাটি রিজিয়ন ও নানিয়ারচর জোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯শে অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় নানিয়ারচর জোনের অধীন কেংড়াছড়ি এলাকায় পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র শাখার নেতা অগ্রসর চাকমার নেতৃত্বে পাঁচ-ছয় জনের একদল সন্ত্রাসী রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কেংড়াছড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি অভিমুখে আসা হানিফ পরিবহনের দু’টি বাস ও দু’টি মাইক্রোর একটি বহর কেংড়াছড়ি এলাকা অতিক্রমকালে সশস্ত্র দলটি গাড়িগুলো থামানোর চেষ্ঠা চালায় তারা।

এসময় বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়িগুলো না থামিয়ে চলে আসলে সন্ত্রাসীরা গাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে পেছনে থাকা হানিফ বাস (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৪-৫৭২৯) এর পেছনের বডিতে তিনটি গুলি লাগলেও কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে নানিয়ারচর জোন থেকে একটি টহলদলকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর সময় বগাছড়িস্থ বউ বাজার এলাকা অতিক্রমকালে সেনাবাহিনীর জীপ গাড়িটি দূর্ঘটনায় কবলিত হয়। এতে রাস্তা থেকে প্রায় তিনশো ফুট নীচে পড়ে যায় গাড়িটি।

এদিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ধাওয়া খাওয়া পর্যটকবাহি গাড়ির বহরটিকে ঘিলাছড়ি আর্মি ক্যাম্পে এনে তাদের কাছে ঘটনার বিবরন শুনা হয়। পরে তাদেরকে স্কট দিয়ে রাঙামাটির প্রবেশমুখ মানিকছড়ি পর্যন্ত পৌছে দেয় সেনাবাহিনী।

সংশ্লিষ্ট্য একটি সূত্র জানিয়েছে, পেছনে থাকা বাসটিকে থামানোর সংকেত দেওয়ার পরও সেটি না থামালে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। সূত্রটির দাবি, মূলতঃ পর্যটকদের অপহরণ করার জন্যেই সন্ত্রাসীরা গাড়িটি থামানোর চেষ্ঠা করেছিলো। এই লক্ষ্যেই সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়েই রণপ্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলো। গুলি লাগা বাসটিতে ৩৯জন যাত্রী ছিলো। তারা সকলেই রাজশাহীর একটি ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি সফরে এসেছিলো।

নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীল একজন উদ্বর্তন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা তাদেরর নিরাপত্তা দিয়ে রাঙামাটি পর্যন্ত এনে দিয়েছি। কিন্তু তারা রাঙামাটিতে অবস্থান না করে চট্টগ্রামে চলে গেছে। এই ব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা।