অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৫৭২ কোটি টাকা মূল্যের চিংড়ি রপ্তানি

0
.

চলতি অর্থবছরেদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাটসহ ১০ জেলা থেকে ১৯ দেশে ৫৭২ কোটি টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়। মৌসুমের আট মাস ছিল আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলেও উৎপাদন ভালো হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ অঞ্চল থেকে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়। গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া, ইতালি, স্পেন, সাইপ্রাস, জার্মান, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলোতে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হচ্ছে।

সূত্র জানান, খুলনা জেলায় প্রতি মৌসুমে ৭শ কোটি গলদা ও বাগদার পোনার চাহিদা রয়েছে। কক্সবাজার ও সাতক্ষীরার হ্যাচারীগুলোতে মৌসুমে ১শ কোটি পোনা উৎপাদন হয়। বাকি পোনার ঘাটতি রয়ে যায়। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে খামারে ছাড়া বেশকিছু পোনা মারা যায়। এপ্রিল-মে মাসে দাবদাহের কারণে রোগ বালাই দেখা দেয়। জুন মাসে ২৬৬ ও জুলাই মাসে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ২০১৭ সালের বর্ষা মৌসুমের তুলনায় অর্ধেক। পানির স্বল্পতাতার কারণে বাগদা চিংড়ির ওজন কিছুটা কম হয়।

.

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কসমস সী ফুড এর প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম জানান, চীন দেশে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ির নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। লকপুর ফিস, মডার্ন সী ফুড, ব্লাসিক সী ফুড ও আলফা সী ফুড এবং কসমস সী ফুড চীনে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করছে। ২০ পিসে এক পাউন্ড ওজনের চিংড়ি ৬ ডলার এবং ২৫ পিসে এক পাউন্ড ওজনের চিংড়ি ৫ ডলার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।

বাগেরহাট ৯উপজেলার মোরেলগঞ্জের চিংড়ি চাষি আমিনুর ইসলাম জানান, পানির স্বল্পতা সত্ত্বেও স্থানীয় বিলে চিংড়ি উৎপাদন সন্তোষজনক। তিনি এবার ছয় একর জমিতে বাগদা ও গলদা চিংড়ি উৎপাদন করেছেন।

মোরেলগঞ্জ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস জানান, বাগদা উৎপাদন বেশি হয়েছে। ২০১৭ সালে এখানে ১১ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন বাগদা ও গলদা উৎপাদন হয়। এ বছর ৩৪২ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদন হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধুরী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ১৫২ হেক্টর জমিতে ১২ হাজার ৪১২ মেট্রিক টন বাগদা, ২০ হাজার ৩৪ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন গলদা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে ১২ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন বাগদা এবং ২০ হাজার ৩৪ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন গলদা উৎপাদন হয়। আবহাওয়ার নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও জেলার ৬৯ হাজার খামারি কাক্সিক্ষত উৎপাদন পেয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও পানির স্বল্পতা থাকলেও উল্লেখযোগ্য রোগবালাই দেখা দেয়নি।