অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার ও তার পোষ্য পুলিশ বাহিনী ‘গায়েবি বটিকা’ খেয়ে বেশামাল হয়ে পড়েছে

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তাই সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে ভৌতিক বা গায়েবি মামলা দায়ের করে চট্টগ্রামসহ দেশ জুড়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। নেশাগ্রস্ত মাতাল ব্যক্তির যেমন কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, ঠিক তেমনিভাবে ক্ষমতার নেশায় মত্ত এই সরকার এবং তার পোষ্য পুলিশবাহিনীও ‘গায়েবি বটিকা’ খেয়ে বেশামাল হয়ে পড়েছে।

আজ সোমবার (২২অক্টোবর) সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

লিখিত বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিনাভোটে অনির্বাচিত সরকার আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় মাতাল হয়ে গেছে। আগে বিএনপিকে সভা সমাবেশের অনুমতি দিত না। এখন নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। এই ঘটনা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, বিশ্বব্যাপী কু-খ্যাত ফ্যাসিষ্ট হিটলার ও মুসোলনীর প্রেতাত্মা ধারণকারি বর্তমান সরকার তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কোন দল বা ব্যক্তিকে সহ্য করতে পারছে না। তারা নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের মন্ত্রী- এমপি ও দলীয় নেতাদের অনিয়ম দুর্নীতি যাতে প্রকাশ ও প্রচার না পায় সে ব্যবস্থা হিসাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন করেছে।

বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে ভৌতিক বা গায়েবি মামলা দায়ের করে চট্টগ্রামসহ দেশ জুড়ে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সরকারের মাতালামী পেয়ে বসেছে পুলিশকেও। আর এ কারণেই দুই বছর আগের মৃত ব্যক্তি, প্রবাসে অবস্থানকারি এবং দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক মানুষদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ সারা দেশে একের পর এক মামলা দায়ের করছে। গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় কয়েক শত নেতাকর্মির বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা করেছে। সরকারের “গায়েবি বটিকা” সেবনকারি পুলিশ আজকাল বজ্রপাত ও বোমার শব্দের পার্থক্য বুঝে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে, গত ১৩ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রামে রাতভর বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। আর সেই বজ্রপাতের শব্দকে বোমা বিস্ফোরণ উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মির বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করা হয়। এছাড়া বাকলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে গত ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে। অথচ কয়েকদিন আগে এক নাশকতা মামলায় বাকলিয়া থানার পুলিশ মৃত জসিমকে আসামী করেছে। পতেঙ্গা থানার ২৪/০৯/১৮ ইং তারিখের এক মামলায় মো. জালাল উদ্দিন নামে এক বিএনপি কর্মী গ্রেফতার হয়ে এখনো জেলে আছে। অথচ ১০/১০/২০১৮ ইং তারিখের (মামলা নং: ১১(১০)১৮) আরেকটি মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। এ ধরনের বহু ঘটনা প্রত্যহ ঘটছে। তাই আমরা বলছি সরকার ও তার পুলিশ বাহিনী গায়েবি বটিয়া আসক্ত হয়ে মাতাল হয়ে পড়েছে। তাদেরকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর সময় হয়ে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম মাহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, কোষাধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, চান্দগাও থানা বিএনরি সভাপতি কাউন্সিলর মুহাম্মদ আজম, চকবাজার থানা সভাপতি সাইফুর রহমান বাবুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী প্রমূখ।