অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অধ্যাপক আহছানুল্লাহসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী

0
.

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক নায়েবে আমীর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আহছানুল্লাহসহ ইতিমধ্যে গায়েবী ও কাল্পনিক মামলায় ১৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বাহিনী।

গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিদাতা চট্টগ্রাম অঞ্চল নেতৃবৃন্দ হলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান ও সেক্রেটারী অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াত আমীর মোহাম্মদ জাফর সাদেক ও সেক্রেটারী অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ্, কক্সবাজার জেলা জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা সেক্রেটারী এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা জি.এম.রহিমুল্লাহ্, বান্দরবান জেলা আমীর মাওলানা আবদুস ছালাম আজাদ ও সেক্রেটারী এডভোকেট আবুল কালাম, খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন ও রাঙ্গামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল আলিম প্রমুখ।

বিবৃতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে গায়েবী ও কাল্পনিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।

অঞ্চল জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার একদিকে সকল দলের অংশ গ্রহনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে অপর দিকে সরকারী দল একতরফাভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ পন্ড করে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে। এখনো পর্যন্ত কোন নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী হচ্ছে না। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী না হলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর মতো নির্বাচনের লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরসহ ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার, গুম ও খুন অব্যাহত রেখেছে।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক আহছানুল্লাহ্সহ গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবির সকল নেতা-কর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান। –প্রেসবিজ্ঞপ্তি