অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তে বানরের তান্ডবে বিপাকে চাষীরা

0
.

বানরে তান্ডবে অতিষ্ট রাউজান উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতি জনসাধারণ। বানরের দল বেঁধে বেপরোয়া হরিলুটে ধান, সবজি ও বিভিন্ন জাতের ফসলাধি চাষাবাদে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বেশ কিছু দিন ধরে রাঙ্গুনিয়ার সীমান্ততবর্তী এলাকায় (আমতলী) কৃষিজমিততে রাউজানে অনেক মানুষ নানা রকম চাষাবাদে কাজ করছেন, কিন্তুু বানর থেকে রক্ষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সুযোগ পেলেই দল-বল নিয়ে হানা দেয় ফসলি জমিগুলোতে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে রাউজানের পাহাড়তলী এলাকার শাহাদুল্লাহ কাজীর বাড়ী গ্রামের পাশে ৪-৫টি বানর দল এসে পাঁকা ধান, পেঁপে, লাউ, মূলা, শীতকালীন মৌসুম সবজি ওপর ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

.

পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের চাষী আবু কদর জানান, গতকাল সকালে আমার পাঁকা ধান, ও শীতকালীন সবজির জমিতে কয়েকটি বড় আকারের বানর এসে জমির ধান ও সবজি বাগান তারা তান্ডব চালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। পরে আমি গিয়ে দেখতে পাই কিছু বানর ধান ও সবজি ক্ষেতে লাফালাফি করতে দেখা যায়। এসময় আমাকে দেখে তারা পালিয়ে পাহাড়ের দিখে চলে যান।

শেখ পাড়া গ্রামের চাষী এনামুল হক জানান, তিনি অনেক বছর যাবতে রাউজান থেকে গিয়ে রাঙ্গুনিয়া কিছু সীমান্তবর্তী এলাকার “আমতলী” এলাকায় উচু-নিচু পাহাড়ি জমিতে সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদান করি, কিন্তু এবার অন্য বছরের তুলনায় বানর দল ব্যাপক ক্ষতি করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন ওরা সবজি ও ফল যতটা খায়, তার চেয়ে বেশি গাছ ও ফল নষ্ট করে দেন। সবজি, লাউ, পেঁপের গাছ ও পাতা ভেঙে নিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যে সব জমিতে আগে ব্যাপক সবজি চাষ করা হতো, এখন দেখাযায় সবজির বাগানে নানা রকম গাছ-পালা রোপন করা হয়েছে। এর একটাই কারণ বনরের দল বেঁধে আক্রমনের হাত থেকে ফসল ও সবজি রক্ষা করতে না পারায় অনেকেই চাষাবাদ বাদ দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি ও ফসলাধি বাজার থেকে ক্রয় করে চাহিদা পূর্ণ করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে নিজেদের চাষকৃত সবজি ও ফসলাধি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকেই।