অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালীতে একাধিক মামলার আসামীদের হুমকিতে তটস্থ পরিবার

0
.

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ঘোষখীল গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাসহ নানান অভিযোগ। এরপরেও দাপটে সাথে এলাকায় প্রতিনিয়ত অঘটন ঘটিয়ে চলেছে একের পর এক।

তাদের অত্যাচার নির্যাতনের মুখে রয়েছে আবদুল বৃদ্ধ হাজী আবদুল খালেকের পরিবার। তিনি ৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন সরকারের কাছে।

আয়োজিত সংবাদ সম্মলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাজী আবদুল খালেকের একমাত্র ছেলে মো. ইউছুফ। তিনি বলেন, উপজেলার ঘোষখীল গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে নুরুল আমিন, নুরুল আবচার, নুরুল কবির ও নুরুল হাসান তাদের সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মাণে চেষ্টা করলে গত ২৩ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি মিছ মামলা (নং ১৫১৭/১৮) দায়ের করেন।

এ অবস্থায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তিতে স্থিতবস্থা বজায় রাখার জন্য বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ খবর বিবাদীরা জানতে পেরে স্বপরিবারে হত্যা, ঘুমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে। বিবাদীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় প্রাণ সংশয়ের আশংকা করছেন হাজী আবদুল খালেকের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাজী আবদুল খালের স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে হারাতে চাই না। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির ফলে বাড়ি ঘরে বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।

মো. ইউছুফ বলেন, গত ২৭ অক্টোবর দায়েরকৃত মামলার নোটিশ জারী করতে তাদের বাড়িতে গেলে দুই পুলিশকে মারধরসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছিল সন্ত্রাসী পরিবারটি। ওই ঘটনার পর উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে তারা মামলা দায়ের করেছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের এক ভাই নুরুল আমিন খোকন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী। তিনি এ চাকুরীর সুবাদে এলাকার নিরীহ মানুষজনকে মামলা মোকাদ্দমার ভয় দেখান।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইরুল ইসলাম বলেন, বোয়ালখালী থানায় ২০০৪ সালে নুরুল আমিন খোকনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি, তার ভাই নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের একটি ডাকাতির মামলা ও ২০০১ সালে অস্ত্র মামলা এবং ২০০২ সালের ভারতীয় শাড়ী চোরা চালানের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া ২০০৪ সালে সিএমপি কর্ণফুলী থানা পুলিশ তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। এ নিয়ে অস্ত্র মামলা রয়েছে নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে। তার আরেক ভাই নুরুল আবছার ২০০১ সালে ও ২০০২সালে দায়েরকৃত বোয়ালখালী থানার পৃথক দুইটি ডাকাতি মামলা আসামী।

এছাড়া ২০০৪ সালে চুরি মামলা হয়েছিল নুরুল আবচারের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ভারতীয় শাড়ি চোরা চালানের মামলাও রয়েছে তার। তাদের আরেক ভাই নুরুল কবির বিরুদ্ধে চুরি অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী বলে রেকর্ড সূত্র জানা গেছে।

গত ২৭ অক্টোবর আদালতের নোটিশ প্রদান করতে গেলে তাদের হামলায় আহত হয় দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মনির আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশি নির্যাতন ও টাকা আদায়ের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আবদুল মোনাফের স্ত্রী ছখিনা বেগম।

এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাইরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ তামিল করতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হন। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।