অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৬ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে ঐক্যফ্রন্ট

0
.

দাবি না মানলে আগামী ৬ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

মান্না বলেন, আমরা আমাদের চিঠি নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দিয়েছি। আমি আশা করি তারা চিঠি পেয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, পরশু দিনের (৬ নভেম্বর) সমাবেশে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনে রাখুন- ৬ তারিখের জনসভায় আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। কিন্তু আন্দোলন মানে সহিংসতা নয়, ভাঙচুর নয়।

ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষনেতা বলেন, কিছুই করি নাই, তাতেই তাদের যে অবস্থা, কিছু করলে কি হবে? সন্ত্রাস কাকে বলে, তা আপনারা করছেন। গুম-খুনের ইতিহাস আপনাদের সবচেয়ে বেশি। এইসব পথ বাদ দিয়ে একটা সুষ্ঠু সুন্দর পথে আসুন।

তিনি বলেন, আমরা যদি আলোচনায় সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে আন্দোলনে যাওয়া লাগবে না। কিন্তু আলোচনা হবে না বলে ছলচাতুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন তা হবে না। যদি মনে করেন গতবারের মতো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবেন তবে মনে রাখেন, এবার কোনও পথ পাবেন না। এবার সবক্ষেত্রে লড়াইয়ের মোকাবিলা করে যেতে হবে আপনাদের।

এই সরকারের মেয়াদ শেষ উল্লেখ করে মান্না বলেন, আপনাদের টার্ম শেষ। আপনাদের যাওয়া উচিত ছিলো বিগত ভোটের এক বছরের মধ্যে। আপনি পাঁচ বছর থেকেছেন। তারপরও বলছি আপনি এখন যান। আপনার যাওয়ার সময় হয়েছে। আপনি যাওয়ার সময় এমন একটা ব্যবস্থা করে যান, যেখানে একটা নির্বাচনকালীন সরকার হয়। যেখানে কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।

গণভবনে ডিজিটাল সিকিউরিটি নেই দাবি করে মান্না আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে মামলার লিস্ট চেয়েছেন। লিস্টটা দেয়ার পর আবার সংলাপে গিয়ে জিজ্ঞেস করবো, লিস্ট কি পেয়েছেন? যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না পেয়ে থাকেন, তবে আপনারা শুধু প্রতারণাই করতে জানেন, আর কিছু জানেন না। তা না হলে কারা কারা চা খেলো, বিস্কুট খেলো, কাবাব খেলো সেই ছবি ফেসবুকে যায় কি করে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক, তাও কোথায়? দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার প্রধানমন্ত্রী যেখানে বাস করেন সেখানের। সেই জায়গা থেকে ছবি কি করে বাইরে চলে গেলো? ডিজিটাল সিকিউরিটি দেখান। আপনার ঘরের মধ্যেই তো ডিজিটাল সিকিউরিটি নাই।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব খন্দকার মহিউদ্দিন মাহী, তেজগাঁও থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।