অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বায়েজীদ থানার এসআই কর্তৃক ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা

1
.

চট্টগ্রামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)র বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর উক্ত গৃহবধূ অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। ওই গৃহবধূ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত এসআই এয়ার হোসেন সোহেল কর্ণফুলী থানাধানী শাহ-মিরপুর পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে কর্মরত আছেন নগরীর বায়েজীদ থানায় রয়েছেন।

.

অভিযোগ উঠেছে এই পুলিশ কর্মকর্তা গৃহবধূর স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে চালান ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে  গৃহবধূকে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে ঐ গৃহবধূ।

মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেজিষ্টার ডাক্তার মোহাম্মদ নূরুন নবী জানান,গত ২৭ তারিখ চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিষ খাওয়া এই রোগী গত ৩০ অক্টোবর আমাদের মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশংকামুক্ত অবস্থায় আছেন।

ধর্ষনের শিকার হওয়া গৃহবধুর স্বামী জানান, পুলিশের পোশাক কারখানায় চাকরি ও শহরে একটি দোকান নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। যা বিশ্বাস করে গত ১৫ আগষ্ট স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসি আমি। এরপর গত ১৮ আগষ্ট আমার ঘরে ইয়াবা নিয়ে এসে আমাকে ইয়াবা দিয়ে চালান ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে র্ধষণ করে এসআই এয়ার হোসেন। এ নিয়ে ডিসি উত্তর বরাবর একটি অভিযোগও করেছি আমি।

মৃত্যুর পথ বেছে নেওয়া পুলিশের হাতে ধর্ষনের শিকার এ গৃহবধূ জানান, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ও আমার স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে ফাসাঁনোর ভয় দেখিয়ে সারারাত আটকে রেখে আমাকে ধর্ষণ করে পুলিশের এসআই এয়ার হোসেন সোহেল। আমি এই পুলিশ নামক জানোয়ারটির বিচার চাই।

.

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বিকার করে পুলিশ সদস্য এসআই এয়ার হোসেনের জানান, সরলাতার সুযোগ নিয়ে এই দম্পত্তি আমাকে ব্লাকমেইল করছে। আল্লাহর কসম আমি এরকম কিছুই করিনি।

অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার না করলেও এঘটনায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে তার বেশ কিছু ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক কল রেকর্ড ও তথ্য প্রমান রয়েছে। এমনকি ধর্ষনের শিকার হওয়া গৃহবধুকে মেট্রোপলিটন হসপিটালে ভর্তি ফরমেও স্বাক্ষর ছিল এই পুলিশ কর্মকর্তার, যোগাযোগের জায়গায়ও ছিল তার সরকারি কাজে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি। যার একটি কপি আছে আমাদের কাছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নগরীর উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমাদের কাছে এমন একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি অভিযুক্ত এই পুলিশ সদস্য এমন জঘন্য কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

১ টি মন্তব্য
  1. যদি সবকিছু সত্য হয়, তবে এ সব জানোয়ার পুলিশ- কে, ক্রসফায়ার এর চেয়ে বড় শাস্তি দেয়া হোক, কারন রক্ষককে কোন ক্রমে ভক্ষকদের কাতারে যেতে দেওয়া যাবে না। বলতে কষ্ট হয়, বাংলাদেশে আইন বাস্তবায়নতা একে বারে নেই।