অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নির্বাচনী তফসিল পেছানো বেআইনী হবে না

0
.

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সিডিউল পেছানো সম্পূর্ণ ইলেকশন কমিশনের এখতিয়ার। সিডিউল পেছানো বেআইনী বা ‘আউট অফ দ্য ল’ হবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা দুবার পিছিয়েছিলাম। তিনি সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশন ইচ্ছে করলে উদ্যোগটি নিতে পারে। এখন আগের মত অনেক দাবি-দাওয়ার কথা শুনছি না যে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে ইত্যাদি । তারা এখন শুধু অনুরোধ করছে, সিডিউল পেছান। নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, ‘যারা জোট করবে তাদের যাবতীয় তথ্য রোববারের মধ্যেই ইলেকশন কমিশনে জমা দিতে হবে’- রাজনৈতিক অনেক মতানৈক্যের ভেতর বিষয়টি তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, তাড়াহুড়ো না।

আরপিওর ভেতরেই এটা আছে, তবে অনেকটা ফাঁকফোকরও আছে। যদি পার্টি রিকোয়েস্ট করে, এটা কোন হার্ড এন্ড ফাস্ট বিষয় না যে ইলেকশন কমিশন একসেপ্ট করতে পারে না। ইলেকশন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু যেভাবে আগানো দরকার সব পারবে। রুলিং পার্টি আওয়ামী লীগও দুয়েক দিন বাড়ানোর অনুরোধ জানাতে পারে বলে শুনলাম।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর বিষয়টি দুইভাবে দেখতে হবে। একটি হচ্ছে- প্রাক নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, যা এক নির্বাচন থেকে পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত। অপরটি হচ্ছে, তফসিলের পরের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। প্রাক নির্বাচনী যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকার কথা সেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিন্তু ছিল না। তো এখনও প্রভাবটা রয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। যেমন পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে, এখনও এরেস্ট হচ্ছে, গতকালও এরেস্ট হয়েছে। ঐ এফেক্টটি কিভাবে বিরোধীজোট কাটিয়ে উঠবে বা কিভাবে মোকাবেলা করবে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।

‘ইভিএম যেখানে বসানো থাকবে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে’, প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন সেনা মোতায়েন বলতে আমরা কী বুঝছি? সেনাবাহিনী কি সেন্টারে মোতায়েন থাকবে? নাকি তারা ইভিএম কেন্দ্রগুলোর নির্বাচন পরিচালনা বা কনডাক্ট করবে? এটা আইনসিদ্ধ কি না তা ভালভাবে ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত যেহেতু অতীতে এরকম কোন ঘটনা নেই।