অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৩ জামায়াত নেতা, লড়বেন স্বতন্ত্র হিসেবে

0
.

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর তিনজন নেতা চট্টগ্রামের তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।  আজ রবিবার বিকেলে ওই তিন নেতার পক্ষে দলীয়ভাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিন নেতার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আনম শামসুল ইসলাম বর্তমানে কারাবন্দি।  অপরজন বাঁশখালী উপজেলা জামায়াতে আমীর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদের মধ্যে শাহজাহান চৌধুরী জন্য চট্টগ্রামের সংসদীয় আসন- ১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলি, খুলশী), আনম শামসুল ইসলামের জন্য চট্টগ্রামের সংসদীয় আনস- ১৫ (লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার একাংশ) এবং জহিরুল ইসলামের পক্ষে চট্টগ্রামের সংসদীয় আসন- ১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে।

শাহজাহান চৌধুরী ২০০১ সালে এবং শামসুল ইসলাম ২০০৮ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের সংসদীয় আসন-১৫ থেকে নির্বাচিত হন। আর জহিরুল এবারই প্রথম সংসদ সদস্য পদে চট্টগ্রামের-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিকদল জামায়াতে ইসলামী ২০০১ ও ২০০৮ সালে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৩ সালে দেশের উচ্চ আদালত এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই সময় আদালত এ দলটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ধর্মভিত্তিক উল্লেখ করে নির্বাচনের ‘অযোগ্য’ ঘোষণা দেয়ার পর নির্বাচন কমিশন সেই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আর আপিল করেনি। তবে এ রায়ের দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের মাত্র ক’দিন আগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। আর এ কারণে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছে না জামায়াত নেতারা।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের আটটি শরিক দল ইতোমধ্যে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেও জামায়াতের প্রতীক নিয়ে মতামত জানায়নি।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রথম দিকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার আলোচনা থাকলেও সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকেই প্রতীকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মোট ১৬টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, রবিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং স্বতন্ত্র হিসেবে মোট ১৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী-বায়েজিদ আংশিক) এবং চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) এই দু’আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলি, খুলশী) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ। বিএনপি নেতাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং উত্তর জেলা বিএনপি নেতা সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে কাতার প্রবাসী বিএনপি নেতা নুরুল মোস্তফা মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

স্বতন্ত্র হিসেবে চট্টগ্রাম-১ আসনে রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মো. আবু তালেব হেলালী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাবিনা খাতুন এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে এমদাদুল হক মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।