অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঢাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

0
.

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালযে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দলটির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপির মনোনয়নপত্র বিক্রি চলছিল। আজ বেলা ১১টায় দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। এলাকাটি রণাঙ্গণে পরিণত হয়েছে।

.

পুলিশ জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় একদম সামনের দিকে ছিলেন সহকারী কমিশনার (এসি, অপারেশন্স) ছিদ্দিক। একপর্যায়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ জানতে পারে, তাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ করে ফেলেছেন। এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশনা দেন, কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ছাড়াই যেন তাকে উদ্ধার করা হয়। এই নির্দেশনা অনুসরণ করে কৌশলে এসি ছিদ্দিককে উদ্ধার করতে গিয়েই পিছু হঠতে হয় পুলিশকে। পরে বিকেল ৩টার দিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।

মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা যখন জানতে পারলাম এসি ছিদ্দিককে তারা অবরুদ্ধ করেছে, আমরা চাইলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পারতাম। সে সক্ষমতা আমাদের ছিল। কিন্তু আমরা এ-ও জানতে পারলাম, তারা সুকৌশলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে প্রয়োজনে কোনো পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতেও পিছুপা হবে না। সে কারণেই আমরা পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নেই।

.

ডিসি আনোয়ার বলেন, ওই সময় আমরা কেউ তাদের কার্যালয়ের দিকে যেতে পারছিলাম না। তাই স্থানীয়দের সহায়তায় সাদা পোশাকে বিএনপি কার্যালয়ে লোক পাঠানো হয়। তারা আমাকে নিশ্চিত করে, এসি ছিদ্দিক সেখানেই আছেন। পরে আমাদের লোকেরা স্থানীয়দের সহায়তায় কৌশলে এসির গায়ের পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। এরপর তাকে আমরা পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাই।

উল্লেখ্য, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির আজ ছিল তৃতীয় দিন।