অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার নাও হতে পারে

0
.

আগামী নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, তাই আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফেয়ার ইকেলশনের জন্য সরকারকেও এ চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কারণ আন্তর্জাতিক মহল তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বি আইআইএসএস) মিলনায়তনে সেন্টার পর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘রাজনীতি এবং জনগণের ভোটাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার না হওয়ার অনেক ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘলাইনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দেওয়ার জন্য অথচ বুথে ঘটে অন্য ঘটনা। বুথে গিয়ে তাকে বলা হলো তুমি হাতে কালি মেখে চলে যাও আর ব্যালট পেপার দিয়ে দাও- এমন যেন না হয়।’

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এসব দেখার বিষয় ইসির। কিন্তু এখন ইসি নিজেরা মাঝে মধ্যে এমন সব কথা বলছে যা তারা নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলছে। মনে রাখতে হবে বিশ্ব তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে। সরকারের অধীনে এর আগে নির্বাচন হলেও এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দল অংশ নিচ্ছে।

মনে রাখতে হবে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার করতে ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। একে গ্রহণযোগ্য করতে সব রকম সহযেগিতা করতে হবে সরকারকে।’

সেমিনারের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম। জামিন নিয়ে হাইকোর্টে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, অন্তত একটি মাস সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করলে ভোট সুষ্ঠু হবে। কারণ ভোট মানুষের মুক্তির পথ, উন্নয়নের পথ, ক্ষমতায়নের পথ। জনগণকে চলার পথ সুগম করে দেন, তাদের প্রতি ভরসা রাখুন। ভোটের অধিকার দিন, জনগণ জানে কাকে ভোট দিতে হয়।

টিভি উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. এম আতাউর রহমান।