অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইসি সচিব নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ শাখার প্রধান

0
.

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ শাখার প্রধান নেতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অবিলম্বে ইসি সচিবকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলে আসছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিরামহীন রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্রুত দলবাজ ইসি সচিবকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, একতরফা ও নীলনকশার পাতানো নির্বাচনের মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ইসি সচিব। সরকার পরিকল্পিতভাবে সাজানো ভোটারবিহীন আরেকটি নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনে হেলালুদ্দীনকে নিয়োগ দিয়েছে।

‘ইসি সচিব মূলত নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করছেন। বাকি পাঁচ সদস্যের কমিশনারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে জোরেশোরে তোড়জোড় চালাচ্ছেন তিনি।’
রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের রূপকার ইসির তৎকালীন সচিব বর্তমান পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের পরামর্শে নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করছেন হেলালুদ্দীন।
‘গত শনিবার নির্বাচন ভবনে বিএনপিকে হুশিয়ারি দিয়ে ইসি সচিব ভবিষ্যতে সতকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। তার এ বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব নন। তিনি নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ শাখার প্রধান নেতা।
ইসি সচিব গোপনে সবচেয়ে অজনপ্রিয় একটি সরকারকে আবার অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আনার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
রিজভী আরও বলেন, বিশেষ সুবিধাভোগী হেলালুদ্দীন আহমদ ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করে চলতি বছরের ২০ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ পূর্ণ সচিব পদে সরকার তাকে পদোন্নতি দেয়। অথচ ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলা প্রশাসক ছিলেন।
‘অল্প সময়ের মধ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাকে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকার সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর একান্ত সচিব ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগপন্থী আমলা হিসেবে তার পরিচিতি ব্যাপক।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ইসি সচিব বর্তমানে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি। প্রশাসনের ভেতরে সরকারের প্রভাবশালী একজন আমলা। প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে।
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসামূলক পোস্ট দেয়া আছে। এসবে প্রমাণিত হয় তিনি নিরপেক্ষ নন, চরম দলবাজ এবং আওয়ামী লীগের অন্ধ অনুসারী।