অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আদালতের নির্দেশের পরও এএসআই রেজাউলকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ

2
এ এস আই রেজাউল ইসলাম মজুমদার।

আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পরও গ্রেফতার করা হচ্ছেনা স্ত্রী নির্যাতনকারী সিএমপি’র এ এস আই রেজাউল। পেশায় পুলিশ বলেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী তানজিনা।

নিজের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিএমপি’র পাহাড়তলি থানার এ এস আই রেজাউল ইসলাম মজুমদার (বিপিনং-৮৬০৬১২২৩৪৯)। উল্টো তার স্ত্রীকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান স্ত্রী তানজিনা। এ ছাড়া বাসা ছেড়ে চলে যেতে বিভিন্ন লোক মারফত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে স্ত্রী তানজিনাকে।

নির্যাতিতা তানজিনা জানান, রেজাউলের অব্যাহত অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রকার আইনি সহায়তা দেয়নি পুলিশ। শুধু লোক দেখানো সাময়িক প্রত্যাহার করে তাকে ইপিজেড থানা থেকে লাইনে নিয়ে আসা হয়। কিছু দিন পর পূনরায় অর্থের বিনিময়ে তাকে পূনরায় সিএমপি’র পাহাড়তলী থানায় বদলি করা হয়। এর পর উল্টো অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে তানজিনাকে রীতিমত হুমকি দেয় রেজাউল। উপায়ন্তর না দেখে পুলিশ সদর দপ্তরে রেজাউলের বিরুদ্ধে চোরাই মোটর সাইকেল বাণিজ্যর অভিযোগ করে তানজিনা।

.

সে অভিযোগের তদন্তের পর গত ৮ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তাতেও কোন ভাবে নির্যাতন বন্ধ হয়নি তানজিনার উপর। এর পর চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৪ এর আদালতে মামলা (২৩৮/১৮) দায়ের করেন তানজিনা। দীর্ঘ শুনানী এবং সাক্ষী প্রমান উপস্থাপন ও যুক্তিতর্কের পর আদালত গত ১৩ নভেম্বর ১৩৪১ নং স্মারক মুলে রেজাউলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সিএমপি’র বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের জন্য আদেশ দেন আদালত। কিন্তু গত ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো রেজাউলকে গ্রেফতার করেনি।

মামলার বাদী তানজিনা জানান, প্রথমে বায়েজিদ থানার দারোগা উৎপল গ্রেফতারি পরোয়ানাটি হাতে পেয়ে তানজিনাকে জানান এটি তামিল করার জন্য এস আই রনিকে দেয়া হয়েছে। বাদীনি তানজিনা রনির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন প্রসেসিংয়ে একটু ভুল আছে এটি ঠিক করেই পরোয়ানা তামিল করা হবে।

সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর রাতে এটি তামিল করার কথা থাকলেও এস আই রনি তা না করে উল্টো রেজাউলকে গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে বায়েজিদ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সোহেল রানা তাগাদা দেয়ার পরেও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি এস আই
রনি।

এ ব্যাপারে বায়েজিদ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক রনি বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানাটি তাকে দেয়া হয়নি এটি থানার মুন্সির কাছে রয়েছে। তামিল কেন হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বাদীকে থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।

বায়েজিদ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিংয়ে আছে বলে ফোন রেখে দেন।

২ মন্তব্য
  1. Kasem বলেছেন

    Shalara Mone hoi r new pasna