অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী খোকনের জামিন বাতিল করলো হাইকোর্ট

0
.

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার প্রধান আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম ওরফে খোকনের দ্বিতীয় বারের মতো জামিন বাতিল করেছে উচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিার (২৯নভেম্বর) উচ্চ আদালতের বিচারপতি হাবিবুল গনী ও বদরুজ্জুমানের যৌথ বেঞ্চ এই জামিন বাতিল করেন। এর প্রায় এক বছর আগেে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর চেম্বার জজ তার জামিন স্থগিত করে।

রাষ্ট্রে পক্ষের কৌসুলি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের আইনজীবি খুরশিদ আলম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, খোকন ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারী রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর রানীরহাট এলাকায় প্রকশ্যে ফকির জিল্লুর ভান্ডারীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় খোকনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। থানার মামলায় তদন্তে পুলিশ খোকনসহ প্রধান চার আসামীকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এই প্রতিবদনে আসামি পক্ষ নারাজি দিলে আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইড তদন্ত করে খোকন হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে খোকনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয। এই মামলায় ২০১৬ সালে জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এই মামলায় উচ্চ আদালতের কয়েকটি বেঞ্চ তার জামিন শুনানি না মঞ্জুর করেন। চলতি বছরের শুরুতে উচ্চ আদালতের এনেক্স ১৮ বিচারপতি আবদুল আউয়াল এর দৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। সাথে সাথে চেম্বার জজ দেড় মাসের জন্ জামিন আদেশটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। দেড় মাস পর স্থগিত হওয়ার জামিন আবেদন সুপ্রিম কোর্টে পুনারায় শুনানি হলে সেই জামিন ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। দীর্গ ১ বছর পর আসামি শহিদুল ইসলাম খোকন আবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে। আদালত আজ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী ইকবাল বলেন, সন্ত্রাসীরা কোন কারন ছাড়াই আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ভাই হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমরা পরিবার পরিজনসহ দেশ ছাড়া। আসামী পক্ষ প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আমাদের জীবনকে অস্থির করে তুলেছে। আসামী বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী মহলের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন চলচাতুরির মাদ্যমে মামলার চার্জ গঠনে বিলম্ব করছে। এই মামলার শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। আমরা আমাদের ভাইকে হারিয়েছি। নিজেরা ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রবাসে জীবনযাপন করছি। তারপরও আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। এই বিষয়ে আমি দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে এই খুনের বিচার চাই। আমি শত প্রতিকূলতার মাঝেও আমার ভাইয়ের বিচার চেয়ে যাবো।