অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে বিএনপির স্মারক লিপি

0
.

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহকারী বিএনপি প্রার্থীদের মুক্তির বিষয়ে অবহিত করতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর পৃথক দুটি স্বারকলিপি দিয়েছে মহানগর বিএনপি।

শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপত মনজুর রহমান চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী।

এসময়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শুনেন। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবহিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, উন্নত দেশগুলো যখন কাগজের ভোটে ফিরে যাচ্ছে, তখন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে সংসদ নির্বাচনে এটি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি।

বিএনপি নের্তৃবৃন্দরা স্মারকলিপিতে ইল্লেখ করেন, দেশের জনগণকে ইভিএম সম্পর্কে পুরোপরি সচেতন না করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া অনভিপ্রেত। নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও ইভিএম বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি এবং চুরির সুযোগ রয়েছে। এই মেশিন হ্যাকিং প্র“ফ নয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়া যায়। ইলেকট্রনিক ভোট এবং ভোট মেশিনের সফটওয়্যারগুলো যে ভোটের আগে, ভোট গ্রহণের সময়ে এবং পরে হ্যাকিংয়ের কবলে পড়বে না, তা নিশ্চিত করা যায়নি বলেই উন্নত দেশে এখনো কাগজের ভোটেই ভরসা।

ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে অনেক দেশ ইভিএম ব্যবহার থেকে সরে আসছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে কেন ইভিএম ব্যবহারের তোড়জোড় শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। চট্টগ্রাম-৯ আসনের ১৪ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন কমিশনের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এখনো সকল ভোটারের হাতে স্মার্ট কার্ড পোৗঁছেনি। আমরা সন্দেহ করছি, মানুষ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বুঝতে পেরে যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে সরকার। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তা থেকে সরে আসার আহাবান জানাচ্ছি।

এছাড়া অপর এক স্বারকলিপিতে চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি আসন থেকে মনোনয়ন পত্র গ্রহণকারী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি কারাবন্দি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে অবহিত করা হয়।