শনিবার ঢাকার টঙ্গদের তাবলীগ জামায়াতের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রম্ন তুলেছেন কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের এক হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,হামলার সময় প্রশাসনের ভুমিকা ছিল রহস্যজনক। পুলিশ নিরব দাঁড়িয়ে দর্শকের ভুমিকা পালন করেছে। শুধু তাই নয়, বরং গেট ভেঙ্গে তাদেরকে ভিতরে প্রবেশে সহায়তা করেছে।
িএসময় তাবলীগ জামায়াতের এই মুরুব্বী বলেন, তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সা’দ ও তাদের সমর্থকদের সাথে আপসের কোন সুযোগ নেই । মাওলানা সা’দ ও তার অনুসারীরা শরিয়তবিরোধী পথে চলছে। তাদের সাথে মিলে যাওয়া মানে তাদের শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা। এটা আমরা কখনো করতে পারিনা।
‘শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও কাকরাইল মসজিদের শুরা মুরব্বী’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় কাকরাইলের সাথী মাওলানা আমানুল হক বলেন, মাওলানা সা’দের এ দেশীয় অনুসারি ওয়াসিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন নাসিম সমর্থকরা গতকাল শনিবার টঙ্গিতে তাবলিগের সাথী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর বর্বোরোচিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে মুন্সিগঞ্জের ইসমাইল মন্ডল নামে একজন নিহত এবং কমপক্ষে পাঁচশ জন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে ওয়াসিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন নাসিমসহ জড়িতদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি সহ ছয় দফা দাবি জানান হয়।
অন্য দাবিগুলো হল, আহত নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, টঙ্গী ময়দান এতদিন যেভাবে তাবলিগের সাথী ও ওলামায়ে কেরামের অধীনে শুরা ভিত্তিক পরিচালিত হয়ে আসছিল সেভাবেই পরিচালনা করতে হবে, কাকরাইলের সব কার্যকলাপ থেকে ওয়াসিফুল ইসলাম-শাহাবুদ্দিন নাসিমদের বহিস্কার করতে হবে, সারাদেশের ওলামায়ে কেরাম ও শুরা ভিত্তিক পরিচালিত তাবলিগের সাথীদের উপর হামলা-মামলা বন্ধ করে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে এবং টঙ্গীর আগামী ইজতেমা পূর্ব ঘোষিত ১৮-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামীকাল সোমবার সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেফাক মহাসচিব আল্লামা আশরাফ আলী, মহাপরিচালক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, সহ-সভাপতি মুফতি নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা নুরুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, কাকরাইল মারকাজের সুরা সদস্য ওমর ফারুক, মাওলানা ফজলুল হক কাসেমী প্রমুখ।