অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আলোচনা-সমালোচনায় সীতাকুণ্ড আসন, ইসহাকই বিএনপি’র প্রার্থী

0
.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ডঃ
সারাদেশের উপজেলার মধ্যে বরাবরই আলোচিত সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনটি। একদিক ইতিহাস সাক্ষী দেয়, স্বাধীনতার পর থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন সে দলই সরকার গঠন করেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও সীতাকুণ্ড উপজেলাটি থাকে আলোচনার মাধ্যম। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও আলোচনার জায়গায় স্থান করে নেয় এ আসনটি। আর এবার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল প্রার্থী মনোনয়নে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব আসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক, রাস্ট্রদ্রোহ ও ব্যাংক ঋণ মামলাসহ অসংখ্য মামলায় মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় প্রথমেই। এর ফলে দল থেকে তার বড় ভাই উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

এদিকে প্রার্থীতা ফিরে পেতে কারাবন্দী আসলাম চৌধুরী শুনানীতে অংশ নেবেন বলে আগ থেকেই শুনা গিয়েছিল।

শনিবার সন্ধার পর গণমাধ্যমে খবর বের হয় শুনানীতে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন ইসি বৈধ করেছেন। এমন সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম-৪ সংসদীয় আসনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দেন বন্যা বয়ে যায়। বিষয়টি স্বীকার করে আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই ও বিএনপির প্রার্থী ইছাক কাদের চৌধুরী গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন,যেহেতু আসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে সেহেতু আমি নির্বাচন থেকে সরে আসবো।

কেন্দ্রের সাথে কথা বলে প্রার্থী পরিবর্তন করে সীতাকুণ্ড আসনে আসলাম চৌধুরী নির্বাচন করবেন। কিন্তু আজ আবার আলোচনায় আসে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ ঘোষনা করা হয়ে। এ খবর শুনার পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা নেমে আসে। আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে এবং আবারও দল থেকে ইসহাক কাদের চৌধুরীর নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইসহাক কাদের চৌধুরী বলেন, সরকার আসলাম চৌধুরীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে ষড়যন্ত্র করে তার মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবুও যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন হয় তাহলে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।