অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা শ্রমিকের রক্তে সিক্ত- নওফেল

0
.

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, রাষ্ট্রীয় সেবায় শ্রমিক শ্রেণীর অগ্রাধিকার অবশ্যই থাকবে। তারাই জাতির উন্নয়নের প্রথম হাতিয়ার। আমাদের মধ্যে দার্শনিক চিন্তা-ভাবনার নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল্যবান অবদান রেখে যাচ্ছেন। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া কোনো জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনি। তাই শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণে আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা রাষ্ট্রীয়করণের পক্ষেই ছিল।

তিনি আজ সকালে সকালে প্রয়াত এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী’র চশমা হিলস্থ বাসভবনে চট্টগ্রাম জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা শ্রমিকের রক্তে সিক্ত। এই ৬ দফা আন্দোলনই শ্রমজীবী জনতা ও গণমানুষের অধিকার স্বীকৃত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

নওফেল আরো বলেন, শেখ হাসিনা একজন দার্শনিক। অন্যরা যা চিন্তা করে তার চেয়েও অনেক বেশি তিনি দূরদর্শী। বিগত ১০ বছরের তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার যে সাফল্যগুলো অর্জন করেছে তা জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরণের বিভাজন যদি থাকে সেটা আমাদের জন্য অমঙ্গল হবে।

আমার পিতা এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী শ্রমজীবী মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে আমি সকলের সহযোগে ঐক্য চাই। যে সকল কলকারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে সেগুলো আবার চালু করার ব্যাপারে নেত্রীর অঙ্গীকার আছে। চট্টগ্রামের শিল্প এলাকায় আবারো শ্রমিক শ্রেণীর উৎপাদনের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এ প্রত্যাশ্যা ব্যক্ত করে নৌকার পক্ষে ভিক্ষে করার আহ্বান জানাই। কারণ নৌকা না আসলে বাংলাদেশ হারবে, নৌকা জিতলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।

চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী’র সভাপতিত্বে ও শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন আবু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নেতা এ.কে.এম বেলায়েত হোসেন, শ্রমিক নেতা এড. মাহফুজুর রহমান খান, রেল শ্রমিক লীগের শেখ লোকমান হোসেন, অরুণ চন্দ্র দাশ, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের আবদুর রহিম, আকতার উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, ওয়াসা শ্রমিক লীগের তাজুল ইসলাম, মো: শাহজাহান, টিএনটি শ্রমিক লীগের আবদুল মালেক, ওমর ফারুক, বিআইডব্লিউটিএ আবদুস সবুর খান, সোনালী ব্যাংকের সৈয়দুল আলম, আবুল কাশেম, অগ্রণী ব্যাংকের কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, গাজী জসিম উদ্দিন, জনতা ব্যাংকের আবু তাহের জিহাদী, নুরুল আফছার, কৃষি ব্যাংকের আকবর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, ডাক ও পোস্টের সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের জয়নাল আবেদীন, হকার্স ফেডারেশনের মীর হোসেন মিলন, রেয়াজউদ্দিন বাজার দোকান কর্মচারী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এস.এম. নুরুল আব্বাস, এম.এ. জিন্নাহ, জহুর হকার মার্কেটের মো: শাহাব উদ্দিন, প্রদীপ বড়ুয়া, বিপণী বিতানের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শপিং কমপ্লেক্সের নুরুল আবছার, দর্জি শ্রমিক লীগের কাঞ্চন দাশ, জামাল উদ্দিন লিটন, মো: ফরিদ, পুরাতন কাপড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি কামাল উদ্দিন বাদল, হকার্স লীগের প্রবীণ কুমার ঘোষ, চৌধুরী মঙ্গল, হারুনুর রশিদ রনি, সিটি হকার্সের আজগর আলী, ফুটপাত হকার্স সভাপতি নুরুল আলম লেদু, সংবাদপত্র হকার্সের সরওয়ার আলম, পরিবহন শ্রমিক লীগের এম. জসিম উদ্দিন রানা প্রমুখ।