অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানবতার মুক্তি ও দেশপ্রেমে কবি-সাহিত্যিকদের অবদান অপরিসীম

0
7777
চট্টগ্রামে রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য ও কবি সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত-চট্টগ্রামে শনিবার সারাদিনব্যাপী-রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য ও কবি সম্মেলন ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে নগরীর কারিতাস অডিটরিয়ামে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যোগদান করেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ভারতের বিপ্লবী কবিখ্যাত সমরেন্দ্র দাশ গুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের ইসলামপুর মুহুকুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সুশান্ত নন্দী, ভারতের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী জনার্ধন সরকার, বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক আফরোজা পারভিন, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক, পরিব্রাজক কবি মাহমুদ হাফিজ।

সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মানবতার মুক্তি, স্ব-স্ব দেশপ্রেম, মাতৃভাষা ও ইতিহাস ঐতিহ্য, সর্বপরি মানুষের অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী কবি সাহিত্যিকরা অভিস্মরণীয় অবদান রেখেই চলেছেন। বিশ্বের যেখানেই মানবতা বিপন্ন, কিংবা অধিকারহারা মানুষের চিৎকার অথবা গণতন্ত্র বিপর্যয় সেখানেই দেশপ্রেমিক কবি সাহিত্যিকরা ভূমিকা রেখেই চলেছেন। বক্তরা আরো বলেন, বাংলা সাহিত্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কালজয়ী সাহিত্য গুলো বিপন্ন মানুষকে আলোর ঠিকানা দিচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম বিশ্ব দরবারে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে বাঙ্গালী জাতিকে গৌরবে পরিণত করেছে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিপ্লবী কবিতা ও গান গুলো আজও মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভূমিকা রাখে। পৃথিবীর সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত বাংলা সাহিত্য ও বাঙ্গালী জাতিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম পরিচিত করেছেন। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে শক্তিশালী সাহিত্য কর্মরুপে পরিণত করেছেন। বক্তারা চট্টগ্রামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রানাথ ঠাকুরের আগমনের স্মৃতি ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী স্মৃতিগুলো সরকারী উদ্যোগে সংরক্ষনের আহবান জানান।

সাহিত্য ও কবি সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন-কবি ও কথা সাহিত্যিক মাহমুদ হাফিজ।

চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ও রবীন্দ্র নজরুল সাহিত্য ও কবি সম্মেলনের উদ্যোক্তা ইতিহাস গবেষক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আবদুল হক চাষী, সুনামগঞ্জের কবি অসিত চন্দ্র দেব, ড. অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, বরিশালের কবি ও কথা শিল্পী মাসুম আহমেদ রানা, রাজনীতিবিদ দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, এডভোকেট মোস্তফা আনোয়ারুল ইসলাম, প্রাবন্ধিক একে জাহেদ চৌধুরী, লেখক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, লেখিকা দিপালী ভট্টাচার্য, প্রকৌশলী সঞ্জয় কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল মিত্র, কবি আরিফ চৌধুরী, ছড়াকার শিবলী সাদিক কপিল, ছড়াকার আবদুল্লাহ মজুমদার, প্রাবন্ধিক এসএম ওসমান, সংগঠক সাংবাদিক স.ম জিয়াউর রহমান, কবি মেহেরুন্নেছা রশীদ, কবি ফেরদৌসী মুন, সঙ্গীত শিল্পী আছহাব উদ্দিন আল-আজাদ, অধ্যক্ষ রতন দাশ গুপ্ত, চৌধুরী মুহাম্মদ শফি, মুক্তিযোদ্ধা অমরকান্তি দত্ত, ছড়াকার ইমরান সোহেল, প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন চৌধুরী ইছা, হেকিম চৌধুরী সিহাবুদ্দিন, রবীন্দ্র গবেষক হারুনর রশীদ, কাজী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক ইউনুচ কুতুবী, সংগীত শিল্পী এস.এম জামাল উদ্দিন, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী হারুনর রশীদ, নওশেদা বিনতে দিবা, শিউলি আকতার, মুহ্ম্মাদ শাওন, মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক দিদারুল আলম প্রমূখ।

সাহিত্য ও কবি সম্মেলন শুরুতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আনন্দ লোকে মঙ্গল আলোকে গানের তালে তালে নৃত্য ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা পাঠের মাধ্যমে সাহিত্য ও কবি সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। সন্ধ্যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি সেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করে সাহিত্য ও কবি সম্মেলন শেষ হয়।